Quantcast
Channel: Bengali News, বাংলা নিউজ, বাংলায় সর্বশেষ খবর, Live Bengali News, Bangla News, Ajker Bengali Khabar - Eisamay
Viewing all 87249 articles
Browse latest View live

পিচ তৈরিতে ব্যবহার হবে নর্দমার জল: বিসিসিআই

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: তীব্র জলসঙ্কটে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে আইপিএলের ১৭টি খেলার জন্য পিচ তৈরি করতে বিপুল পরিমাণ জল 'নষ্ট' করার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তার শুনানিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আদালতকে জানিয়েছে, পিচ তৈরি করতে তারা নিকাশির জল ব্যবহার করবে।

মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টে বোর্ডের আইনজীবী রফিক দাদা জানান, 'পিচ তৈরির জন্য আমরা নিকাশির জল ব্যবহার করব। এই মর্মে রয়্যাল ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া টার্ফ ক্লাবের সঙ্গে আমাদের কথা হয়ে গিয়েছে। তারা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে প্রতি দিন ৭-৮টি করে জলের ট্যাঙ্কার পাঠাবে। তা পিচ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হবে।'

ইতিমধ্যেই নাগপুর থেকে ৩টি ম্যাচ স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এখন পুনেতে ৯টি এবং মুম্বইয়ে ৮টি ম্যাচ বাকি রয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার এর আগেই আদালতে জানিয়েছিল, পিচ তৈরির জন্য সরকার থেকে কোনও জলের ট্যাঙ্কার সরবরাহ করা হবে না। প্রথম থেকে সরকারের তরফ থেকে কড়া মনোভাব দেখা গিয়েছিল আদালতে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছিলেন, 'সরকারের তরফ থেকে জল দেওয়া সম্ভব নয় তা আমরা আগেই জানিয়েছি। তাতে যদি ম্যাচ অন্যত্র চলে যায় যাবে। আমাদের কিছু করার নেই।'



'অবাধ' হামলা চালাতে আত্মঘাতী শিশু স্কোয়াড বোকো হারামের

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অপহৃত শিশুদের আত্মঘাতী জঙ্গি হিসেবে ব্যবহার করছে বোকো হারাম। আফ্রিকার জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইউনিসেফের। দাবি, এই কাজে শিশুকন্যাদেরই বেশি ব্যবহার করছে জঙ্গিরা।

অপরাধ সংগঠনে শিশুদের হাঁড়কাঠে চড়াচ্ছে বোকো হারাম। গত দুই বছরের হিসেব বলছে, প্রতি ৫ জন আত্মঘাতী জঙ্গির একজন শিশু। মঙ্গলবার ইউনিসেফের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটাতে অপহৃত শিশুকন্যাদেরই বেছে নেওয়া হচ্ছে। গত বছর মোট ৪৪টি শিশুকে বলি দিয়েছে বোকো হারাম। বাদ যায়নি ৮ বছরের শিশুও।

গত প্রায় এক দশক জুড়ে পশ্চিম আফ্রিকার চ্যাড হ্রদ সংলগ্ন অঞ্চলে তাণ্ডব চালাচ্ছে বোকো হারাম। ইসলামপন্থী জঙ্গিদের দাপটে মারা গিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। শুধু তাই নয়, এলাকাজুড়ে প্রবল দারিদ্র ও খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে।

বছর দুয়েক আগে নাইজেরিয়ার চিবকের এক স্কুল থেকে ৩০০ ছাত্রীকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। তাদের মধ্যে কয়েকজন পরবর্তীকালে জঙ্গি ঘাঁটি থেকে পালাতে পারলেও বেশির ভাগই এখনও নিখোঁজ। উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ার সাম্বিসা অরণ্যে আত্মগোপনকারী জঙ্গি নেতারা অপহৃত মেয়েদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গোয়েন্দা বিভাগ।

২০১৫ সালে বোকো হারামকে নির্মূল করতে তত্‍পর স্থানীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আমেরিকা-সহ একাধিক রাষ্ট্র। জঙ্গি আক্রমণ এড়াতে জনপদ ছেড়ে পালিয়েছেন স্থানীয় গ্রামের বহু বাসিন্দা। প্রশাসনের দাবি, সরকারি অভিযানের মুখে এই মুহূর্তে ছত্রভঙ্গ জঙ্গি বাহিনী। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যেতে এবার আত্মঘাতী জঙ্গি আক্রমণের দিকে ঝুঁকেছে বোকো হারাম। এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের।

ইউনিসেফের দেওয়া হিসেবে, ২০১৪ সালে ৩২টি থেকে বেড়ে ২০১৫ সালে আত্মঘাতী জঙ্গি আক্রমণের সংখ্যা বেশ কয়েক গুণ বেড়েছে। গত বছর নাইজেরিয়ায় এই ধরনের আক্রমণ ঘটেছে ৮৯টি, ক্যামেরুনে ৩৯টি, চ্যাডে ১৬টি এবং নাইজারে ৭টি। এর মধ্যে শিশু আত্মঘাতী জঙ্গির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ক্যামেরুনে। সরকারি হিসেবে, বেশির ভাগ আত্মঘাতী জঙ্গির বয়স ১৩ থেকে ১৫ বছর।

টানা ১২৪ ঘণ্টা নেচে গিনেসে নাম কত্থক শিল্পীর

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: এক-দুই নয়, টানা ৫ দিন ধরে ক্রমাগত নেচে গিনেস বুক-এ নাম তুললেন বারাণসীর ৩০ বছর বয়সি সোনি চৌরাসিয়া। গত ৪ এপ্রিল শহরের বাইরের একটি স্কুলের অডিটোরিয়ামে সন্ধ্যায় রেকর্ডের জন্য কত্থক শুরু করেন। টানা ১২৪ ঘণ্টা নেচে গিয়েছিলেন সোনি।

এর আগে এই রেকর্ড ছিল কেরালার কলামন্ডলম হেমলতা-র দখলে। তিনি মোহিনীআট্টম নেচে রেকর্ড গড়েছিলেন ২০১১ সালে। গত বছর নভেম্বরে অবশ্য সোনি চেষ্টা করেছিলেন রেকর্ড ভাঙার। কিন্তু ৮৭ ঘণ্টা নাচার পর স্টেজের ওপরই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। তবে ৪-৫ মাসের মধ্যে ফের তৈরি হয়ে রেকর্ড গড়লেন সোনি।

এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান সোনিকে। তাতে কিনি সোনি 'বিটিয়া' বলে সম্বোধন করেন। সোনি-র গুরু রাজেশ ডোগরা বলেন, 'সোনি ভীষণ পরিশ্রমী মেয়ে। ও আগেরবারের চেষ্টার কথাও আমার বেশ মনে আছে। হার না মেনে মাত্র ৪-৫ মাসের মধ্যে এই পারফরম্যান্স অভাবনীয়। এটা শুধু ওর বাবা-মা বা আমার কাছেই গর্বের মুহূর্ত নয়। বরং সেই সমস্ত মানুষের কাছেও গর্বের মুহূর্ত যাঁরা সোনির জন্য প্রার্থনা করেছেন ওর পাশে থেকেছেন।'


মধুর প্রতিশোধ, পাকিস্তানকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিলেন সর্দাররা

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই ক্রিকেটের টি২০ বিশ্বকাপে দুরমুশ করার পর এবার হকিতেও পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল ভারত। উড়িয়ে দিলই বলা ভালো, কারণ মালয়েশিয়ায় আজলান শাহ কাপের মঙ্গলবারের ম্যাচে ভারত জিতল ৫-১ গোলে। চারটি অনবদ্য গোল ও একটি পেনাল্টিতেই পাক-বধ।

ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি মানেই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গেই থাকে। এদিনও হাইভোল্টেজ ম্যাচটি ঘিরে ফুটছিলেন সর্দার সিংরা। গত ম্যাচে কানাডাকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী ভারত এদিন প্রথম থেকেই ম্যাচের চালকের আসনেই ছিল। পাকিস্তান দলকে দাঁড়াতেই দেয়নি। খেলা শুরুর ৪ মিনিট পরেই মনপ্রীত সিংয়ের গোলে এগিয়ে যায় ভারত। তবে ৭ মিনিটে পাক অধিনায়ক মহম্মদ ইরফানের পেনাল্টি কর্নার থেকে গোলে সমতা ফেরায় পাকিস্তান। ১০ মিনিটের মাথায় ফের একটি গোল করে ২-১-এ এগিয়ে যান মনপ্রীত-সর্দার-তালবিন্দররা।

এরপর খেলার রাশ ছিল পুরোটাই ভারতের হাতে। পরপর তিনটি গোল করে ৫-এ থামে ভারত। বুধবার ভারত মুখোমুখি হবে নিউ জিল্যান্ডকে।

চাণক্যসূত্র: সুখী থাকতে চাইলে এই ৪ গুপ্তকথা ভুলেও কাউকে বলবেন না

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: 'ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না'। প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তির বিখ্যাত উক্তি। সত্যিই তো, মুখ থেকে কথা আর হাত থেকে ঢিল একবার বেরিয়ে গেলে তা আর ফেরত আসে না। তাই কথা এবং কাজের আগে সব সময় ভেবে করতে হয়। চাণক্য বা কৌটিল্য এ ব্যাপারে ৪টি কাজের একটি তালিকা বলে গিয়েছেন, যা কখনও কারও সঙ্গে আলোচনা করা উচিত নয়। আলোচনা করলে ফল কী হতে পারে, তা ভুক্তভোগী মাত্রেই জানবেন। দেখে নিন সেই তালিকা।

১) আর্থিক ক্ষতি: প্রথমেই তিনি বলেছেন, আর্থিক ক্ষতি যদি হয়, তবে তা কারও সঙ্গে আলোচনা করা উচিত নয়। কারণ হিসাবে তিনি লিখেছেন, সকলেই শুনবেন তবে কেউ সাহায্য করবেন না। উল্টে আপনার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু মানুষ জেনে যাবেন। ফল হবে, তাঁরা আপনার দুর্বলতার সুযোগ খোঁজার চেষ্টা করবেন। এ সময়ে যদি কেউ সাহায্য করার কথা বলে, জানবেন তিনি মিথ্যে বলছেন। চাণক্য আরও লিখেছেন, এ সমাজে দরিদ্র ব্যক্তিকে কেউ সম্মান করে না। তাই সম্মানহানিরও আশঙ্কা থাকে।

২) ব্যক্তিগত সমস্যা: আর্থিক ক্ষতির মতো ব্যক্তিগত সমস্যার কথাও কারও সামনে আলোচনা করা উচিত নয়। চাণক্য লিখছেন, যাঁরা নিজের ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে বাইরের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেন, তাঁদের মাথা নিচু করতেই হয়। কারণ যাঁদের সহ্গে আলোচনা করা হবে তাঁরাই একদিন অপমান করবে। শুধু তাই নয়, সেই ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তাঁর সম্পর্কে রসাল আলোচনা, হাসি-তামাশা করা হবে।

৩) স্ত্রী-র চরিত্র: সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে এই বিষয়টি দেখিয়েছেন চাণক্য। তিনি লিখছেন, স্ত্রীর সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে এমন কথা মুখ ফস্কে বেরিয়ে যেতে পারে যা হয়তো বলতে চাওয়া হয়নি। তবে একবার কথা বেরিয়ে গেলে তা নিয়েই গুঞ্জন শুরু হবে। ক্রমে তা বড় আকার নেবে। পরিনামে যা কখনও ভালো হয় না। তাই নিজের স্ত্রী-র চরিত্র সম্পর্কে কখনও কারও সামনে আলোচনা করা উচিত নয়।

৪) অশিক্ষিত ব্যক্তির অপমান: যদি কখনও অশিক্ষিত ব্যক্তির কাছে অপমানিত হন তা কখনও কারও সঙ্গে আলোচনা করবেন না।চাণক্য লিখছেন, যদি এ কথা আলোচনা করেন মানুষ আপনাকে নিয়ে প্রকাশ্যে ঠাট্টা-তামাশা করবে। যা আপনার আত্মসম্মানের পক্ষে হানিকর হবে। ক্রমে নিজের ওপর বিশ্বাস হারাতে থাকবেন।


লিফট দেওয়ার নাম করে ছাত্রীকে 'ধর্ষণ', গ্রেপ্তার শিক্ষক

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ক্লাস টেনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার এক স্কুলশিক্ষককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর ভেলোরে।

পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রীর স্কুলে ক্লাস টেনের পরীক্ষা চলছিল। সোমবার পরীক্ষা দিয়ে, এক সহপাঠীর সঙ্গে সে বাড়িতে ফিরছিল। ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষকও সেসময় বাইকে করে ফিরছিলেন। ওই দুই ছাত্রীকে বাইকে লিফট দেওয়ার কথা বললে, তারা আর আপত্তি করেনি। ধর্ষিতার বন্ধু বাড়ির কাছে নেমে যাওয়ার পর, ওই শিক্ষক মল্লাকুণ্ডার রাস্তা ধরে। সেখানে একটি ফাঁকা মন্দির চত্বরে নিয়ে গিয়ে, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এর পর, ওই ছাত্রীকে সেখানেই ফেলে রেখে, পালিয়ে যায় অভিযুক্ত শিক্ষক।

মেয়েটির কথা অনুযায়ী, এলাকার লোকজনকে জিগ্যেস করে সেখান থেকে ওই শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছন। তার মধ্যে বাড়িতে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। কিছুক্ষণের মধ্যে ছাত্রীটির মা-বাবাও ওই শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছন। শিক্ষককে অবশ্য তখন বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

গ্রামের মানুষ জন ঘটনার কথা জেনে, মঙ্গলবার স্কুলে বিক্ষোভ দেখান। 'ধর্ষক' শিক্ষককে মারধরও করা হয়। পরে, পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলে, ধর্ষণের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার পি পাকালাভন জানান, শ্রীধর নামে বছর ৩৩-এর ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিগৃহীতার মেডিক্যাল টেস্ট করতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

জল বাঁচাতে পুণের বাইরে ম্যাচ সরাক বোর্ড, চাইছে কোর্ট

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (IPL)-এর ম্যাচ যদি পুণের বাইরে অন্য কোথাও সরানো সম্ভব হয়, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)-কে তা বিবেচনা করে দেখতে বলল বোম্বে হাইকোর্ট।

গোটা মহারাষ্ট্রে জলের তীব্র সংকট চলছে। এমতাবস্থায় আইপিএল ম্যাচের জন্য স্টেডিয়ামে জলের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। এত জল দিতে পারবেন না বলে, আগেই হাত তুলে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তাতে ম্যাচ অন্যত্র সরে গেলেও, তাঁদের আপত্তি নেই বলে জানান দেবেন্দ্র।

এর মধ্যে আবার একটি এনজিও জনস্বার্থ মমলা করে বসে। বিচারপতি ভিএম কানাডে ও বিচারপতি এমএস কার্নিকের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি মঙ্গলবার উঠলে, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে, সম্ভব হলে বিসিসিআই-কে আইপিএল ম্যাচ পুণের বাইরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন তাঁরা।

লোকসত্তা মুভমেন্ট নামে এই এনজিও-টির বক্তব্য, মহারাষ্ট্রে খরা পরিস্থিতির মধ্যে ক্রিকেট পিচ ঠিক রাখতে কয়েক লক্ষ লিটার জল অপচয় হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, গোটা মহারাষ্ট্রের তিনটি স্টেডিয়ামে আইপিএলের মোট ২০টি ম্যাচ হবে। এর মধ্যে ৯টা ম্যাচ রয়েছে পুণেতে, মুম্বইয়ে ৮টি এবং নাগপুরে ৩টি ম্যাচ।

বিসিসিআই আদালতে জানায়, তারা নিকাশি জলকেই পরিস্রুত করে মুম্বই ও পুণের পিচে দিচ্ছে। ফলে, জল অপচয়ের যে অভিযোগ উঠছে, তা ঠিক নয়। বিসিসিআই-এর আইনজীবী রফিক দাদা আদালতে জানান, রয়াল ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া টার্ফ ক্লাবের নিকাশি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকেই এই জল নেওয়া হচ্ছে। দিনে ৭ থেকে ৮ ট্যাঙ্কার তাঁরা জল পাচ্ছেন।

সবার জন্য সস্তায় সুন্দর হিয়ারিং-এড আবিষ্কার ভারতীয় কিশোরের

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কম খরচের হিয়ারিং-এড বানিয়ে মার্কিনিদের তাক লাগিয়ে দিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক কিশোর। মুকুন্দ ভেঙ্কটাকৃষ্ণন নামে বছর ষোলোর এই কিশোর কানে শোনার যে যন্ত্রটি বানিয়েছে, তার দাম মাত্রই ৬০ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় চার হাজার টাকাও নয়।

মুকুন্দ জানায়, দামি ডিভাইস কেনার মতো আর্থিক সামর্থ্য যাঁদের নেই, তাঁদের কথা ভেবেই বানানো হয়েছে এই হিয়ারিং-এডটি। জানা গিয়েছে, কেনটাকির লুইসভিলে শহরের এই কিশোর বিগত দু-বছর ধরে এই ডিভাইস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিল। সম্প্রতি জেফারসন কান্ট্রি পাবলিক স্কুলের 'আইডিয়া ফেস্ট' ছিল। সেখানেই ৬০ ডলারের এই ডিভাইসটি সে সামনে আনে। এই ডিভাইসের জন্য কেনটাকির স্টেট সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফেয়ারে পুরস্কারও পায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই কিশোর।

মুকুন্দ জানায়, তার তৈরি ডিভাইসটি সবচেয়ে কমদামি হেডফোনও দিব্য কাজ করবে। শুনতে কোনও সমস্যা হবে না। ডাক্তারের কাছে যাওয়ারও প্রয়োজন পড়বে না। প্রয়োজন মতো সাউন্ড বাড়িয়ে কমিয়ে নিজেই অ্যাডজাস্ট করা যাবে। কতটা শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়েছে, সেই ব্যক্তি নিজেই বুঝতে পারবেন।

আমেরিকায় এক একটি হিয়ারিং এডের দাম পড়ে ১,৫০০ ডলার। সেখানে এই হিয়ারিং-এড মাত্রই ৬০ ডলার।


বর্ধমান, স্পেশাল: লুকোনো অস্ত্রের ভাণ্ডারই নিয়ামক

$
0
0

সাবেরী গুপ্ত ■ কেতুগ্রাম

'ছার্চিং ঠিক মতো হইলে ঠিক মতোই বেইরোবে৷ ছার্চিংটাই তো হচ্ছে না ! তবে আর কী করি হবে ?'বেজায় চটে আছেন তুরাব শেখ৷ পেশায় চাষি৷ কিন্ত্ত তাতে সংসার চলে না৷ তাই পান বেচেন৷ গ্রাম , রতনপুর৷ ব্লক , কোতুলপুর ১ নম্বর৷ জেলা , বর্ধমান৷ কেতুগ্রামের রতনপুর ও তার আশপাশের খাসপুর , কাঁটারি , রায়খাঁ---একের পর এক গ্রামে বেআইনি অস্ত্রের ভাঁড়ারঘর৷ নির্বাচন কমিশন , পুলিশের বড় কর্তাদের কাছে তা নিয়ে প্রচুর অভিযোগ৷ কিন্ত্ত ওই যে , তুরাব বলেন 'ছার্চিং ' (সার্চিং ) হচ্ছে না , তাই মালপত্র উদ্ধারও হচ্ছে না ঠিকঠাক৷ এই অভিযোগ সিপিএমেরও৷ কেতুগ্রাম কেন্দ্রে উর্বর ধানগোলার আড়ালে এই অস্ত্রগোলাই 'ডিসাইডিং ফ্যাক্টর ' হবে বলে মনে করছেন বিরোধীরা , সাধারণ মানুষও৷ তবে নির্বাচন কমিশন যে ভাবে কড়াকড়ি করছে , তাতে পরিস্থিতি অতটাও ঘোরালো হবে না বলে আশা রাখছেন অনেকে৷

শাসক দলের ছত্রচ্ছায়াতেই গ্রাম -কে -গ্রাম মেশিন গান , কার্তুজ , মাস্কেট জড়ো হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ শাসক দল স্বাভাবিক ভাবেই অভিযোগ ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছে৷ কিন্ত্ত সিপিএমের অভিযোগ , 'মেশিন সন্ত্রাস ' এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে দেওয়াল লিখন , পতাকা লাগানো দূরের কথা , প্রার্থীকে প্রচারে যেতে হচ্ছে পুলিশ নিয়ে৷

ঘটনা হল , কেতুগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিরোধীদের একটা আঁচড়ও নেই৷ যদিও নাম না -লেখার শর্তে কেউ কেউ বললেন , 'ভিতরে ভিতরে কে সিপিএমকে সমর্থন করছে , কী করে জানবেন ?' কিন্ত্ত 'উপরে উপরে ' দেখা যাচ্ছে , ব্লকে সিপিএমের চারটি পার্টি অফিসই ২০১১ -র পর থেকে বন্ধ৷ গ্রাম পঞ্চায়েত , পঞ্চায়েত সমিতি সবই তৃণমূলের৷ এলাকায় ঘুরলে মনে হবে , বিধানসভায় কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই৷ সর্বত্রই তৃণমূল প্রার্থী , বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজের নামে পোস্টার , দেওয়াল লিখন , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আর গোয়ালঘর , বাড়ির দেওয়াল , বিঘার পর বিঘা ধানজমিতে লাগানো তৃণমূলের পতাকা পতপত করতে উড়তে দেখা যাবে৷ ওই কেন্দ্রে যে সৈয়দ আবুল কাদের নামে সিপিএমের কোনও প্রার্থী আছেন , তার হদিসও মিলবে না কোথাও৷

বিস্তীর্ণ এলাকায় এই 'একাধিপত্যে 'র কারণেই বোধ হয় জয়ের ব্যাপারে ১০০ -য় ২০০ ভাগ নিশ্চিত তৃণমূলের শেখ শাহনওয়াজ৷ কিন্ত্ত জয় কতটা মসৃণ হবে , তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে৷ কেতুগ্রাম কেন্দ্রে দলের অবজার্ভার তৃণমূলের বিতর্কিত নেতা অনুব্রত মণ্ডল৷ শাহনওয়াজ আবার বীরভূমের আর এক নেতা কাজল শেখের বড়দা৷ কাজল -অনুব্রত বিবাদের কথা কারও অজানা নয়৷ তার প্রভাব আপনার উপরে পড়বে না ? শাহনওয়াজ বলেন , 'উনি (অনুব্রত ) আসেনও না৷ তাই ওঁর কোনও প্রভাব থাকার কথা নয়৷ তা ছাড়া , আমার সঙ্গে তো ওঁর কোনও সমস্যা নেই৷ ' অনুব্রতও বলছেন , 'কার ভাইয়ের সঙ্গে কী আছে জানি না৷ তবে কেন্দ্রটি আমরা জিতব৷ 'কিন্ত্ত ১ নম্বর এলাকাটা প্রায় বিরোধীশূন্য করে ফেললেন কী করে ?

শাহনওয়াজ বলছেন , 'বীরভূমের পাঁপুড়িতে বাড়ি আমার৷ সেখান থেকে পাঁচদিন এলাকায় নিয়মিত হাজিরা দিই৷ মানুষ তো দেখছে কে কী রকম , কাকে পাশে পাওয়া যায়৷ তাই মানুষই এখানে আর বিরোধীদের চায় না৷ তা ছাড়া , বিরোধীশূন্য কোথায় ? ওদের পতাকা আছে তো !' কেতুগ্রাম থানা ছাড়িয়ে কাটোয়া -ফুটিসাঁকো মেন রোড ধরে বেশ ক 'টি গ্রাম পেরিয়ে বাঁয়ে একটা রাস্তা বেঁকে যাচ্ছে৷ সেটা ধরে একটু এগোতেই দেখা মিলেছিল শাহনওয়াজের৷ প্রচণ্ড গরমে বামুনডি , খলিপুর অঞ্চলে মিছিল সেরে দরদর করে ঘামছেন৷ সঙ্গে কেতুগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহির শেখ৷ সেখানে সত্যিই জোড়া ফুলের ফাঁকে তা -ও লালের উঁকিঝুঁকি দেখা গিয়েছিল৷ তার পরে যতই ভিতরে ঢোকা যায় , এলাকা ক্রমশ বিরোধী -চিহ্ন শূন্য হয়ে পড়ে৷

জাহিরের বাড়ি খাসপুর গ্রামে৷ নিজেরই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান -সহ একাধিক খুনের মামলার অভিযুক্ত৷ তাঁর বাড়ির সাবমার্সিব্ল পাম্পের তলা থেকে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল বলে অভিযোগ৷ রবিবার দুপুর তখন ১টা৷ গরমে একটা কাকও বাইরে নেই৷ শুকিয়ে আসা একটা পুকুরের পাশে টি -শার্ট, ট্রাউজার্স পরে দাঁড়িয়েছিলেন পেশায় চিকিত্সক আব্দুন হান্নান৷ এই গ্রাম তো অস্ত্রের আগার , সন্ত্রাসের নাকি আঁতুড়ঘর৷ কী বলবেন ? চশমার আড়াল দিয়ে একরাশ আর্তি ঝরে পড়ে৷ মুখে হাসি টেনে হান্নান বলেন , 'বুঝতেই পারছেন , এ সব নিয়ে মুখ খুললে কী হতে পারে ! আমাকে বাদ দিন দয়া করে৷ 'একটু দূরেই বাড়ির দাওয়ায় বসেছিলেন তৃণমূল সদস্য ক্ষীরেশ্বর দাস৷ বলেন , 'না না , আমাদের গ্রামে ও সব নেই৷ এখন আর কোনও অভিযোগও তো ওঠে না৷ '

কেতুগ্রাম কেন্দ্রের দু'টি ভাগ --- ১ ও ২ নম্বর ব্লক৷ ২ নম্বরে ঝুটঝামেলা তেমন নেই৷ মানুষ খোলাখুলি শাসক দলের বিরুদ্ধে কথা বলেন৷ যেমন , কেতুগ্রাম থানার অদূরে বসে স্থানীয় ইয়াদ আলি বলেন , 'দিদিমণি ভালই কাজ করসেন৷ কিন্ত্ত তাঁর দলের নিসুতলার কর্মীরাই তো গোইলমেলে৷ ঝুটঝামেলা লেইগেই আসে৷ এর চেয়ে ছিপিএম -ই সিল ভালো !'কিন্ত্ত ১ -এ পরিস্থিতি দমবন্ধ করা৷ মূলত ভৌগোলিক অবস্থানের জন্যই এই ফারাক৷ ২ নম্বর ব্লক বর্ধমানের ভিতরে থাকলেও ১ নম্বরের অনেকখানিই অন্যান্য জেলার সীমানা লাগোয়া অঞ্চল৷ ১ -এর ফুটিসাঁকো এলাকা বর্ধমান , বীরভূম , মুর্শিদাবাদের সংযোগস্থল৷ বর্ধমানের সেরানদি থেকে ফুটিসাঁকো যদি হয় বীরভূম সীমানা লাগোয়া , তা হলে চাকটা থেকে মোড়গ্রাম পড়ছে মুর্শিদাবাদের গা ঘেঁষে৷ দুষ্কৃতীদের আনাগোনা , অস্ত্রশস্ত্র আমদানি , মজুত রাখার জন্য এর চেয়ে নিরাপদ স্থান আর কী -ই বা হতে পারে ! নির্বাচন কমিশন ফুটিসাঁকোর উপরে বিশেষ নজরদারি করছে৷

কিন্ত্ত তাতেও আশ্বস্ত নন বিরোধীরা৷ কেতুগ্রামের সিপিএম নেতা তমাল মাঝি বলেন , 'ওরা তো অস্ত্র দিয়েই যা করার করছে৷ আমরা অভিযোগ জানিয়েছি , কিন্ত্ত কিছু তো হচ্ছে না৷ আমাদের পার্টি অফিসগুলো সেখানে বন্ধ , গত পাঁচ বছরে ১৪ জন খুন হয়েছেন , এখনও দেওয়াল লিখন করতে গেলে হুমকি দিচ্ছে , ভয় দেখাচ্ছে৷ ভিতরে ভিতরে আমরা কাজ চালাচ্ছি৷ তাতে মানুষের ভালোই সাড়া মিলছে৷ 'সি‌পিএম প্রার্থী আবুল কাদের কাটোয়া কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক৷ এলাকায় ছাত্রদরদি , ভদ্র , সত্ মানুষ হিসেবেই তাঁর পরিচয়৷ বলেন , 'গত বার হাজার দেড়েকের কিছু ভোটে হেরেছিলাম৷ তা -ও ৩২টি বুথ লুঠ করে জিতেছিল তৃণমূল৷ ঠিকঠাক ভোট হলে এ বার আর সে সম্ভাবনা নেই৷ ' অস্ত্রশস্ত্রের ব্যাপারটা অবশ্য ভাবাচ্ছে কাদেরকেও৷ তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট ফারুক মির্জা দীর্ঘদিন গ্রামছাড়া৷ ফারুকেরই গ্রাম শান্তিনগরের ঊষারানি রায় সিপিএম আমলে ব্লকের কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন৷ পালাবদলের পরে বহুদিন পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে৷ ধানখেতে জাল -কাদায় দাঁড়িয়ে রাত কাটিয়েছেন৷ ঊষারানি এখন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হেল্পারের কাজ করেন , তৃণমূল ডাকলে তাদের মিছিলেও হাঁটেন৷ কেন হাঁটেন ? 'কী করব ? এই অঙ্গনওয়াড়ির কাজটা আছে বলে তো তাও ভাত জোটে৷ তাই ডাকলে মিছিলে যেতেই হয়৷ ' উত্তর দেন ঊষারানি৷

ইনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী, ফার্স্ট লেডি হলে নগ্ন হবেন!

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী জিতলে স্ট্রিপ টিজ নাচবেন বলে কথা দিলেন মেলানিয়া ট্রাম্প। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুন্দরী স্ত্রীর এই অঙ্গীকারে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা, বাকরুদ্ধ রাজনৈতিক মহল।

জন্মসূত্রে স্লোভেনীয়, প্রাক্তন মডেল মেলানিয়ার শরীরি আবেদনে একদা মজেছিল গোটা বিশ্ব। ক্যামেরার সামনে খোলামেলা পোশাকে যথেষ্ট সাহসী ও সাবলীল হিসেবে পরিচিত ছিলেন ট্রাম্প-পত্নী। সে সব বছর ১৫ আগের কথা। তবে দেড় দশক পরেও সেই ঐশ্বর্যে মুগ্ধ হয় জনতা। আর সেটা জেনেই মোক্ষম চাল দিয়েছেন মেলানিয়া। আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে স্বামী ডোনাল্ডের প্রচারে নিজের শরীর উন্মোচনের টোপ দিলেন সুন্দরী। জানালেন, ডোনাল্ড প্রেসিডেন্ট হলে ভক্তদের তৃষ্ণা মেটাতে মোহিনী স্ট্রিপ টিজ নাচবেন।

কমিউনিস্ট পরিবারের আদর্শ লালিত পরিবেশে মানুষ হওয়ার পর আমেরিকায় এসে ফ্যাশন দুনিয়ায় বিস্ফোরণ ঘটান মেলানিয়া। ২০০০ সালে এক পত্রিকায় তাঁর নগ্ন ছবি মার্কিন মিডিয়া তোলপাড় করেছিল। সেই সময় শিল্পপতি ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছিলেন তিনি। ট্রাম্পের প্রাইভেট জেটেই ক্যামেরার সামনে শরীরী বিভঙ্গ মেলে ধরেন মেলানিয়া।

সাম্প্রতিক নির্বাচনী প্রচারে মেলানিয়া ট্রাম্পের সেই ছবিই ব্যবহার করছে বিরোধী টেড ক্রুজ শিবির।নগ্ন ছবির নীচে ক্যাপশন পড়ছে, 'আসুন পরিচয় করিয়ে দিই আপনাদের পরবর্তী ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে। বা আপনারা টেড ক্রুজকেও ভোট দিতে পারেন।'

তবে সে সব নিয়ে ট্রাম্প শিবিরের আদৌ কিছু যায় আসে না। হবু ফার্স্ট লেডির অতীত যে কোনও ভাবেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে না, দলীয় প্রচারে সে কথা পই পই করে বলছেন ডোনাল্ড ও তাঁর সমর্থকরা। পাশাপাশি, মেলানিয়াকে একজন সহজ-সরল আড্ডাবাজ মহিলা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেছিলেন ডোনাল্ড। সেই সময় মেলানিয়াকে এক সাক্ষাত্‍কারে জানতে চাওয়া হয়, ঠিক কী ধরণের ফার্স্ট লেডি হতে চান। স্লোভেনীয় রূপসী উত্তর দিয়েছিলেন, 'জ্যাকি কেনেডি বা বেটি ফোর্ডের মতো সনাতনী প্রেসিডেন্ট-পত্নী হওয়াই আমার ইচ্ছে।'

হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত কি পা রাখতে পারবেন? যদি রাখেন, সে ক্ষেত্রে ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণে কি সত্যিই নগ্ন হবেন মেলানিয়া? ফার্স্ট লেডি হিসেবে ইতিহাস তৈরি করার সাহস কি দেখাতে পারবেন প্রাক্তন মডেল? এমনই নানা প্রশ্নে উত্তাল আমেরিকার মিডিয়া।

রাতের অন্ধকারে নয়, সকালেই ভালো!

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: যৌন মিলনের আদর্শ সময় কখন, এই প্রশ্নের উত্তর ঘিরে বিজ্ঞানে নানা মুনির নানা মত। বহু মানুষ মিলনের সময় হিসেবে রাতকেই বেছে নেন। একদল বিজ্ঞানীর মত, গোটা বিষয়টিই যতটা না শারীরিক, তারচেয়ে অনেকটাই বেশি কাজ করে মানসিক স্বস্তি। আসলে বিছানায় শুতে যাওয়ার পর যে দীর্ঘ সময় একে অপরকে পাওয়া যায় কাছাকাছি, তা খানিকটা মানসিক স্বস্তি দেয় পুরুষ-নারী উভয়কেই। বিশ্রামের মেজাজে নিরুপদ্রব সময় হিসেবেই তারা বেছে নেন রাতটিকে। আধুনিক বিজ্ঞান কিন্তু অন্য কথা বলছে। বর্তমান গবেষকরা রাতের চেয়ে, সকালকেই রতিক্রিয়ায় সেরা সময় বলছেন।

চিকিত্‍‌সা বিজ্ঞানীরা এর জন্য ৫টি কারণকে বেছেছেন। পাঠকদের জন্য রইল সেই কারণগুলি।

১. বিজ্ঞানীরা বলছেন, একটা চনমনে ভালো দিন শুরু করতে সকালে সেক্স ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। ভোরে পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যেই টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ বেশি মাত্রায় হয়। তাই ওই সময় মিলন হলে এন্ডোরফিনস হরমোনের ক্ষরণও বেড়ে যায়। যার ফলে সারা দিন মেজাজ ভালো থাকে। দিনের শুরুতেই মন ভালো হয়ে যায়।

২. আধুনিক ব্যস্ত জীবনে, রাতে অনেকেই ক্লান্ত থাকেন। ক্লান্ত শরীরে মিলনে অনীহা তৈরি হয়। সকালে ঘুম ভাঙার পর সেই ক্লান্তি থাকে না। ফলে ন্যাচারাল সেক্স হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ন্যাচারাল সেক্সের উপকারিতা হল, ত্বকে জেল্লা আসে, চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়। সর্বোপরি অল্প বয়সে বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

৩. সুস্থ থাকার জন্যও সকালের সেক্সের জুড়ি নেই বলেই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। চিকিত্‍‌সকরা বলছেন, ভোরে মিলন হলে শরীরে ইমিউনোগ্লোবিন-A-র মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যায়। সুস্থ ও চনমনে থাকে শরীর।

৪. বর্তমান প্রযুক্তির যুগে দিনের একটা দীর্ঘ সময়ই স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেটের মধ্যে কাটে। রাতে শোওয়ার পরেও নানা চিন্তা-ভাবনা মাথায় ঘোরে। অনেকটা সময় ঘুমের পর এই চিন্তাগুলি মাথা থেকে সরে যায়। ফলে যৌনমিলনে শরীর নির্ভেজাল ভাবে সাড়া দেয়।

৫. ভোরেই সবচেয়ে বেশি যৌন আকাঙ্খা বাড়ে পুরুষের। চিকিত্‍‌সা বিজ্ঞানীরা বলছেন, সকালে সবচেয়ে বেশি টেস্টোস্টেরন ক্ষরণ হয় পুরুষের। কারণ, শরীর ও মন উভয়ই রিল্যাক্সড থাকে।



সেলাই করা 'নকশিকাঁথা'য় মোড়া মমিতে বিস্ময়!

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: তুষারাবৃত আলতাই পর্বতমালার সাড়ে ৯ হাজার ফুট উপরে চিরনিদ্রায় সে শায়িত। দেড় হাজার বছর ধরে। প্রায় অক্ষত। পরনে অসাধারণ কারুকার্য করা বস্ত্র। সেই কাপড়ে সুক্ষ্ণ সেলাইয়ের কাজ এখনও স্পষ্ট। মঙ্গোলিয়ায় উদ্ধার হওয়া সেই মমি-ই এখন চর্চার কেন্দ্রে। মমিটিকে মোড়া কাপড়টির সেলাই মুগ্ধ করছে বিজ্ঞানীদের।

ষষ্ঠ শতকে মঙ্গোলিয়ার শিল্প, সংস্কৃতি যে একেবারেই অন্যস্তরের ছিল, তারই যেন সাক্ষ্য বহন করছে এই মমিটি। বিজ্ঞানীদের প্রতি মুহূর্তে মুগ্ধ করছে মমিটির পায়ে থাকা জুতো, যা এখনকার ফ্যাশনেবল জুতোর মতোই। গবেষকদের অনুমান, মমিটি কোনও মহিলার। মমির পাশেই মিলেছে একটি ঘোড়ার জিন, স্যাডেল, নকশা করা পাত্র, কাঠের বাটি, লোহার কেটলি, একটি ঘোড়া, কাপড়, চামড়ার ব্যাগ। ঘোড়াটিরও জীবাশ্ম মিলেছে।

খুব ধীরে ধীরে মমিটি খুলছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ তাঁদের বক্তব্য, এই সুক্ষ্ণ কারুকাজ করা কাপড় ধীরে না খুললে মমিটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আপাতত পা ও হাতের কিছুটা অংশ খোলা হয়েছে। গবেষক বি সুখবাতারের কথায়, 'সম্ভবত এই মহিলা খুব উচ্চ বংশের নয়। কারণ, কফিনে কোনও তির রাখা নেই। তবে কাপড়ের অসাধারণ সেলাই মুগ্ধ করছে। ভেঁড়ার লোমে তৈরি গোটা বস্ত্রটি। ব্যবহার করা হয়েছে উটের লোমও। সব মিলিয়ে বিস্ময় জাগাচ্ছে মমিটি।'

পাকিস্তানে পিরিয়ড বিপ্লব! বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে সারি সারি ন্যাপকিন

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: পিরিয়ড নিয়ে ঝুটো সংস্কার গুঁড়িয়ে দিতে সাহসী উচ্চারণে সোচ্চার হলেন পাক ছাত্রীরা। স্যানিটারি ন্যাপকিনে স্লোগান লিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়াল ঢেকে অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন তাঁরা।

আন্দোলনের নাম 'পিরিয়ড প্রোটেস্ট'। পিরিয়ড ঘিরে সমাজের যুক্তিহীন বাতিক ও কুসংস্কারের মুখে চাবুক মারতে উদ্যোগী লাহোরের বিকনহাউস ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রীরা। পাক সমাজের চোখ রাঙানিকে থোড়াই কেয়ার করে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের দেওয়াল জুড়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন সেঁটেছেন ছাত্রীরা। তার ওপর লেখা হয়েছে নির্ভীক স্লোগান। কোনও প্যাডের ওপর লেখা: এই রক্ত নোংরা নয়। আবার কোথাও জ্বলজ্বল করছে: পিরিয়ডস আমাদের কামুক করে তোলে।

কিন্তু হঠাত্‍ কী কারণে চূড়ান্ত রক্ষণশীল পাকিস্তানে এমন আন্দোলনের ঝুঁকি নেওয়া?

আন্দোলনে যুক্ত ছাত্রী মাভেরা রহিম জানিয়েছেন, 'পিরিয়ডস নিয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রচারের অভাবে বেশ কিছু ছোঁয়াচে রোগে ভোগেন এদেশের মেয়েরা। যুগে যুগে প্রতিটি সভ্য সমাজ নিজস্ব ভঙ্গিতে পিরিয়ড সম্পর্কে মত প্রকাশ করেছে। শারীরিক এই প্রক্রিয়া কোথাও উত্‍সবের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়, আবার কোথাও তা নারীর লজ্জা হিসেবে তুলে ধরা হয়। আমাদের সমাজে পিরিয়ডস কেন্দ্র করে লুকোছাপা ও অস্বস্তি দূর করতে পদক্ষেপে সামিল হয়েছি।'

লাহোরের ছাত্রীদের অসামান্য সাহস এবং সংকল্পকে কুর্নিশ জানিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। টুইটার ও ফেসবুকে তাঁদের সমর্থন করেছেন কয়েক হাজার মানুষ।

গরমে সুখবর, এবছর বর্ষা হবে বেশ বেশি

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: চল্লিশ, বিয়াল্লিশ, তেতাল্লিশ, কোথাও আবার পঁয়তাল্লিশ। তাপমাত্রার উচ্চগামী পারদ কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ হার মানাচ্ছে মরুশহরকেও। দারুণ দহন দিনের পূর্বাভাস মিলছে ভোরেই। এহেন পরিস্থিতিতেই খানিকটা সুখবর শোনাল ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর। চলতি বছরে তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হবে দেশে। IMD জানিয়েছে, অন্যান্য বছরের গড় বৃষ্টিপাতের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত দেখবে দেশবাসী।

দেশজুড়ে গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বর্ষার অপেক্ষায় দিন গোনা শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। এই দহনজ্বালা থেকে বাঁচতে ত্রাতা বৃষ্টি। মঙ্গলবার এবছরের বর্ষার গতিপ্রকৃতি আনুষ্ঠানিক ভাবে জানাল আবহাওয়া দপ্তর। India Meteorological Department (IMD) জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত অন্যান্য বছরের তুলনায় ২০১৬-এ বেশি হওয়ার পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে। যার জেরে কৃষি ও আর্থিক বৃদ্ধি ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

গত দু'বছর কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় ভয়াবহ খরা দেখেছে দেশের একটা বড় অংশ। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে খরার জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন বহু কৃষক। তাই হাওয়া অফিসের এবারের পূর্বাভাস খানিকটা স্বস্তির বার্তা।

আরও ৩ দিন দুর্ভোগ, গরম কমবে পয়লা বৈশাখের পর

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: আপাতত পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন নেই। বরং উত্তরোত্তর চড়বে পারদ। তীব্র দাবদাহে বাংলা জ্বলবে আরও ৩ দিন। বাংলা নববর্ষ শুরু হওয়ার পর ধীরে ধীরে নামবে পারদ। জানাল হাওয়া অফিস। এদিকে, প্রচণ্ড গরমে সানস্ট্রোক হয়ে মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের। গড়িয়া স্টেশনে আসনে বসে থাকা অবস্থাতেই মৃত্যু হয় ষাটোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধের। যাদবপুর থানার পুলিশ পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

রোজই নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙছে কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা। কলকাতায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। স্বাভাবিকের থেকে যা ৬ ডিগ্রি বেশি। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও, এদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণবঙ্গজুড়ে লু বইবে বলে সতর্কবার্তা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
মরুশহরকে অনেক পেছনে ফেলে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই রেকর্ড তাপমাত্রা কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে। বেশ কয়েকটি জেলায় গত কয়েকদিন ধরে তাপপ্রবাহ চললেও, আগামী ২-৩দিন সবচেয়ে মারাত্মক অবস্থা হতে পারে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরে। এই জেলাগুলিতে লু বইতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

তীব্র দাবদাহে দগ্ধ হওয়া থেকে আপাতত কোনও নিষ্কৃতি নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই তাপপ্রবাহ চলবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। কাজেই বাংলা নববর্ষের শুরুটা হচ্ছে অসহ্য গরম দিয়েই। ১৬ এপ্রিলের পর থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে আলিপুর।


বিরোধীদের দাবি মেনেই অপসারিত নগরপাল

$
0
0

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল। মঙ্গলবার তা লাগু হয়ে গেল। বিধানসভা ভোট চলাকালীনই সরিয়ে দেওয়া হল কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে। সূত্রের খবর, সম্ভাব্য পুলিশ কমিশনার হিসেবে উঠে আসছে এডিজি (সিআইডি) সৌমেন মিত্রের নাম।

গতমাসে বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাকে ঘুষ দিতে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। বিজেপি-র অভিযোগ ছিল, ওই ঘুষ দেওয়ার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন নগরপাল রাজীব কুমার। এরপরই নির্বাচন কমিশন রাজীব কুমারকে সরানোর নির্দেশ দেয়। রাজ্য প্রশাসনের তরফে নগরপাল পদে তিনটি নামের একটি প্যানেল নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়। সৌমেন মিত্র ছাড়াও কে হরিরাজন ও সুধীর মিশ্রের নাম ছিল সেই প্যানেলে। এর মধ্যে এডিজি সিআইডি সৌমেন মিত্রেরই নগরপাল হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল বলে সূত্রের খবর।

রাজ্যে ভোটের মুখে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার এই সিদ্ধান্তে খুশি বিরোধীরা। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, এতে প্রমাণিত হল আমার অভিযোগ মিথ্যে ছিল না। রাজীব কুমার সরকারের কাছের লোক। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই পরিকল্পিত ভাবে আমাকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তাতে জড়িত রাজীব কুমারও।

ভোট প্রচারে নয়, ক্রিকেট খেলার দাবি সৌরভের

$
0
0

এই সময়: বালিতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বৈশালি ডালমিয়ার হয়ে প্রচারে নয়, ক্রিকেট ম্যাচে অংশ নিতে যাচ্ছেন তিনি৷ এর সঙ্গে ভোটের প্রচারের কোনও সম্পর্ক নেই৷ জানিয়ে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার রাতে ইডেনে দাঁড়িয়ে সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ বলেন, 'বালিতে একটা ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে৷ টলিউড বনাম ক্রিকেটার৷ টলিউডের অনেক তারকা যাবে৷ সেখানে ম্যাচ খেলতে আমিও যাব৷ এর মধ্যে ভোটের প্রচারের কথা আসছে কেন?'

ভোট প্রচারের কথা আসছে কারণ, রবিবার বালিতে ওই ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেখানে থাকবেন প্রার্থী বৈশালি৷ যিনি নিজেই ঘোষণা করেছেন, তাঁর অনুরোধেই আসছেন সৌরভ৷ একবার নয়, একাধিক বার এ কথা বলেছেন বৈশালি৷ বলেছেন, 'সৌরভ আমার বন্ধু৷ আমার প্রচারে ও নিশ্চয়ই আসবে৷' তাই ক্রিকেট ম্যাচের আড়ালে এটা যে তৃণমূলের ভোট প্রচারই হচ্ছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলের৷ যদিও সৌরভ এ দিন বলেন, 'চূড়ান্ত এখনও কিছু হয়নি৷ আর আমার মনে হয় না, বৈশালি প্রচারে যাওয়ার কথা বলেছে৷ ও ক্রিকেট ম্যাচের কথাই বলেছে৷'

প্রশ্ন উঠছে আরও৷ বৈশালি বলেছেন, বাংলা ক্রিকেট টিমও সে দিন তাঁর হয়ে প্রচারে আসবে৷ বিক্ষিপ্ত ভাবে কয়েক জন ক্রিকেটার যেতেই পারেন৷ কিন্ত্ত একটা গোটা বাংলা টিম কী ভাবে রাজনৈতিক প্রচারে নামতে পারে? অবশ্য মনোজ তিওয়ারি বাদে বাংলার নামী ক্রিকেটার যেমন ঋদ্ধিমান সাহা, অশোক দিন্দা আইপিএল খেলতে ব্যস্ত৷ সে ক্ষেত্রে সৌরভই সেখানে 'মেগাতারকা৷' মনোজ-দিন্দা নিয়ে কারও মাথা ব্যথা নেই৷ সৌরভ শেষ পর্যন্ত গেলেন কি না, সেটাই আসল৷

নবাবভূমে বামপ্রার্থী কে, প্রশ্ন লাখের

$
0
0

পার্থসারথি সেনগুপ্ত ■ মুর্শিদাবাদ

সিপিএম তুমি কার ? কংগ্রেসের নাকি ফরওয়ার্ড ব্লকের ? মুর্শিদাবাদের মসনদ দখলের লড়াইয়ে এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন৷ কারণ , মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটারদের সামনে ভোটরঙ্গের এই ধাঁধার উত্তর মেলা দায় , যে দু'টি পুর ও আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে এই কেন্দ্র , সেখানে আদতে বামফ্রন্ট প্রার্থী কে , সেটা বুঝতেই সময় লেগে যাচ্ছে৷ একদিকে , শহর জুড়ে মিটিং -মিছিল , পোস্টার -প্রচারে রয়েছে কংগ্রেস -বাম জোটের প্রার্থী বর্তমান বিধায়ক শাওনি সিংহরায়কে জয়যুক্ত করার ডাক৷ এই প্রচারে শাওনির দল কংগ্রেসের সঙ্গে পুরোমাত্রায় সামিল স্থানীয় সিপিএম নেতা -কর্মীরা৷ পরক্ষণেই যে পোস্টারটি দেখে চোখ ছানাবড়া হওয়ার জোগাড় , তা হল বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ফরওয়ার্ড ব্লকের বিভাস চক্রবর্তীকে জেতানোর আহ্বান৷ ফলে , বিভ্রান্তি ছড়ানো নিতান্তই স্বাভাবিক যে , বামফ্রন্টের মূল শরিক সিপিএম কি ঝোলে -ঝালে -অম্বলে থাকার মতোই একই সঙ্গে কংগ্রেসের শাওনির সঙ্গে রয়েছে৷ পাশাপাশি ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী ও এই কেন্দ্রের প্রাক্তন বামফ্রন্ট বিধায়ক বিভাসকেও কোলছাড়া করেনি৷ এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদ বিধানসভা নিয়ে জোর কোন্দল বামফ্রন্টের অন্দরেই৷

বস্ত্তত , মঙ্গলবার বিকালে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রর্থী বিভাস যে প্রশ্ন শুনে হাসলেন , তা হল , 'সিপিএম এখানে কার পাশে , আপনার না শাওনির ?' বড়ই দুঃখের শোনাল সেই হাসি৷ কারণ , প্রাক্তন বাম বিধায়কের অভিযোগ , 'সিপিএম এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী শাওনিকে সমর্থন করে বামফ্রন্ট বিরোধী ঘোর অনৈতিক অবস্থান নিয়েছে৷ কারণ , বামফ্রন্টের তরফে আমার নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন খোদ বিমান বসু৷ কেন্দ্রীয় ভাবে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব মানবেন , সেটাই সবাই আশা করেছিলেন৷ তবে লালবাগ জোনাল কমিটি নিজেদের নেতৃত্বকেই উড়িয়ে দিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে৷ ' এই জেলায় যে দশটি কেন্দ্রে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হচ্ছে কংগ্রেসের সঙ্গে , সেগুলির অন্যতম কেন্দ্র এই মুর্শিদাবাদ৷

এ নিয়ে কী বলছেন সিপিএমের জোনাল কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর চক্রবর্তী ? ফরওয়ার্ড ব্লক নেতার অভিযোগ শুনে তাঁর মধ্যে কোনও হেলদোল দেখা গেল না৷ তাঁর সাফ কথা , 'তৃণমূলকে হারাতেই হবে৷ ফলে কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই৷ রাজ্য বা জেলা কমিটি এ নিয়ে কী ভাবছে , তা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাইছি না৷ জোনাল স্তরে আলোচনা করেই সব স্থির হয়েছে৷ মানুষ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চাইছেন৷ 'লালবাগের কংগ্রেস অফিসে বসে শাওনি অবশ্য দাবি করেছেন , স্থানীয় সিপিএম নেতারা পুরোপুরি তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন৷ একযোগেই প্রচার চলছে৷ তবে বিভাসের কথায় , 'প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ মান্নান হোসেন মমতার দলে যোগ দেওয়ার পর কংগ্রেস এখানে একটি ক্ষয়িষ্ণু শক্তি৷ যেটা প্রকৃত অর্থে শাসক দলের শক্তি বাড়িয়েছে৷

এই মুহূর্তে কংগ্রেসকে বয়ে নিয়ে চলছে সিপিএমই৷ সব সভাতেই কংগ্রেসের লোকের চেয়ে বহুগুণে বেশি সিপিএমের লোক৷ 'এই চাপানউতোরের মাঝে মুচকি হাসছেন শাসক দলের প্রার্থী অসীম ভট্ট৷ তিনি অঙ্ক কষে বললেন , '২০১১ -র বিধানসভা নির্বাচনের কথা ভুলে যান৷ তখন বিভাসবাবুকে হাজার ছয়েকের মতো ভোটে হারিয়ে শাওনীদেবী জিতেছিলেন৷ এরপর লোকসভা ভোটে এই বিধানসভায় বাম আর কংগ্রেস ---দু'দলই ৫৬ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছিল৷ দু'তরফে ফারাক ছিল মাত্র কয়েকশো ভোটের৷ ' বামেদের ভোটের মধ্যে প্রায় ২৬-২৭ হাজার ভোটই ফরওয়ার্ড ব্লকের৷ তৃণমূল পেয়েছিল প্রায় ৩৮ হাজার ভোট৷ ফলে , লড়াই যেমন তাঁদের পক্ষেও চ্যালেঞ্জের৷ তবে বাকিদেরও কাছেও সহজ নয় , বলেই মন্তব্য অসীমের৷

জানিয়ে রাখা ভালো , ভোটে দাঁড়ানোর আগে পর্যন্ত আপাদমস্তক অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অসীম ব্যস্ত থাকতেন নিজের ব্যবসা আর বাবার নামের চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সমাজসেবামূলক কাজে৷ দ্বিতীয়টিই নজর কাড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ কিছুটা গর্বের সুরেই অসীম তাই জানাতে ভুললেন না , তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ফোন করে প্রার্থী হতে বলেছিলেন৷ তবে বলতে গেলে শাসক দলের চেয়েও বাম কংগ্রেস -জোটকে কিছুটা চিন্তার মধ্যেই রেখেছেন বিভাস৷ তিনিই বাম শিবিরের আগমার্কা প্রার্থী৷ কোমর কষছেন দুই সন্তানের জননী শাওনিও৷ তিনি শুধু জেতাই নয় , জয়ের মার্জিন বাড়ানোর স্বপ্নেও বিভোর তিনি৷ এরই মধ্যে একাধিক ধারাল তীরে সিপিএমকে বিদ্ধ করে লড়াই জমাতে ছাড়ছেন না ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী৷

তিনি বলেন , 'দীপকবাবুকে জিজ্ঞেস করুন , সব জায়গায় তো জোটের হয়ে প্রচারে আসছেন সূর্যকান্ত মিশ্র৷ এখানে তিনি আসবেন তো ?' সিপিএম নেতারা অবশ্য পরিষ্কারই জানিয়েছেন , সূর্যকান্ত এ পথ মাড়াচ্ছেন না৷ ফলে , নবাবি বাংলার প্রাচীন রাজধানীতে প্রকৃত বামপ্রার্থীর রহস্য ঘোচাতে ভানু গোয়েন্দা আর জহর অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো দুঁদে সত্যান্বেষীর দরকার পড়তেই পারে আমজনতার৷

সরকার বদলানোর জনরোষ এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি , মানছেন দুধকুমার

$
0
0

কৌশিক সরকার ■ রামপুরহাট

'কাকু, এ বারও কী মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবে ?'আয়াশ অঞ্চলের বসুইপাড়ায় হাফপ্যান্ট পরা ছেলেটার মুখে প্রশ্নটা শুনে তাজ্জব রামপুরহাটের তৃণমূল প্রার্থী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আশ্চর্যের কারণ , ভোট দেওয়ার বয়েস তো এখনও হয়নি ছোকরার৷ তবে , তার এত আগ্রহ কেন ? খানিকটা কৌতূহল নিয়েই তার প্রতি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা , 'মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হবে কি না , তা নিয়ে তো তোর বাপের আগ্রহ থাকার কথা৷ এটা জানতে তোর এত আগ্রহ কেন ? কোন ক্লাসে পড়িস ? স্কুলে যাস ?''হ্যাঁ , কাকু, স্কুলে যাই৷ ক্লাস এইটে পড়ি৷ বলো না , হবে মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী ?' নাছোড়বান্দা ছেলেকে আবার পাল্টা প্রশ্ন আশিসবাবুর৷ 'আগে বল জানতে চাইছিস কেন ? তোর তো ভোট নেই !''তুমি বুঝলে না !

আমি এইটে পড়ি৷ পরের বছরই তো হবে ক্লাস নাইন৷ মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী থাকা মানে , ক্লাস নাইন হলেই একটা নতুন সাইকেল পাব যে !'নির্বাচনী প্রচারে টুকরো টুকরো নানা ঘটনার মধ্যে ওই ছোট্ট ছেলেটার এই প্রশ্নটাই ভাবিয়েছে আশিসকে৷ তাঁর কথায় , 'এই কথাটা এটা ব্যাপারের স্পষ্ট প্রতিফলন যে , রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের সুফল এক্কেবারে নিচুতলা পর্যন্ত পৌঁছেছে৷ আর তাই এ বার পজিটিভ ভোটেই জিততে চলেছে তৃণমূল৷ 'কিন্ত্ত আরও চমকপ্রদ শোনাল বিজেপি প্রার্থীর কথা৷ কী বলছেন দুধকুমার মণ্ডল ? তিনি বলছেন , 'দেখুন , তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে নানা ক্ষোভ -বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে বটে , কিন্ত্ত সেই জনরোষ এখনও তৈরি হয়নি যে সরকার বদলে যেতে পারে৷ '

খানিক সামলে নিয়ে দুধকুমারের সংযোজন , 'যদিও বীরভূম জেলায় রামপুরহাট এবং ময়ূরেশ্বর আসন দু'টির ব্যাপারে আমরা আশাবাদী '৷ বিজেপির আশার কারণ , ২০১৪ -র লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রায় ২৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তারা৷ দুধকুমার মণ্ডলের মতো 'দাপুটে নেতা ' এ বার প্রার্থী হওয়ায় বিজেপির পালের হাওয়া আরও জোরালো হবে বলেও গেরুয়া শিবিরের আশা৷ তবে , তাতেও বাদ সেধেছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব৷ ময়ূরেশ্বরের ছেলে হলেও দুধকুমারকে যেমন প্রার্থী হতে হয়েছে রামপুরহাট থেকে , তেমনই রামপুরহাটের বিজেপি নেতা দেবাশিস চৌধুরীও সদলবলে নির্বাচনের কাজ করতে চলে গিয়েছেন ময়ূরেশ্বরে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে খাটতে৷

এই আসন জেতার ব্যাপারে আশাবাদী বাম -কংগ্রেস জোটও৷ তারা ভরসা রাখছে বিশুদ্ধ পাটিগণিতের ওপর৷ লোকসভা নির্বাচনে বাম -কংগ্রেস ভোট যোগ করলে দাঁড়ায় প্রায় ৩৭ শতাংশ ভোট , যা বিজেপির থেকে বেশি তো বটেই , এমনকি তৃণমূলের প্রান্ত ৩৪ শতাংশ ভোটের থেকেও বেশি৷ কিন্ত্ত , 'দুলালের তালমিছরি 'র মতো আসল আর নকলের ফেরে খানিকটা হলেও গুলিয়ে যাচ্ছে জোট প্রার্থীর ভবিষ্যত্৷ কেন ? এই কেন্দ্রে বাম প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের মহম্মদ হান্নান৷ পোস্টারে , ফ্লেক্সে তিনি লিখছেন জ্যোতি বসুর কথা , 'বাম ঐক্যকে চোখের মণির মতো রক্ষা করতে হবে৷ '

কিন্ত্ত , এই কেন্দ্রে সিপিএম ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থীকে নয় , সমর্থন করছে কংগ্রেস প্রার্থী সৈয়াদ সিরাজ -কে (জিম্মি )৷ তাঁর সমর্থনেই প্রচার চালাচ্ছে তারা৷ সিপিএমের সমর্থন পেয়ে মাঠে -ঘাটে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন জিম্মিও৷ এই কেন্দ্রে জেতার বিষয়ে আশাবাদী তিনিও৷ যদিও , সৈয়াদ সিরাজ (জিম্মি ) এবং মহম্মদ হান্নান দু'জনেই নিজেকে দাবি করছেন বাম সমর্থিত প্রার্থী হিসাবেই৷ কিন্ত্ত , মহম্মদ হান্নান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ফলে বাম ভোটের যতটুকুই কাটতে পারেন , তাতে আখেরে জয়ের পথ প্রশস্ত করবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ জিম্মি তো বটেই , এমনকি মহম্মদ হান্নানেরও দাবি , গরিব , মেহনতি , বামপন্থী মানুষের সমর্থন তিনিই পেতে চলেছেন৷

রামপুরহাটের নির্বাচনে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন আদিবাসী গাঁওতার প্রার্থী রবীন সোরেনও৷ কারণ , এই কেন্দ্রেরই মহম্মদ বাজারের পাথর খাদান এলাকার যে ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে , সেখানে রয়েছে আদিবাসী গাঁওতার উল্লেখযোগ্য প্রভাব৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও একেবারে শেষ মুহূর্তে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আদিবাসী গাঁওতা প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯টি আসনে৷ জিতেছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির ১টি আসনও৷ রবীন সোরেনের দাবি , এ বারও আদিবাসী গ্রামগুলিতে নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট সভায় তাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন গাঁওতার প্রার্থীকে সমর্থনের৷ ওই এলাকাগুলিকে এখন তৃণমূল ছাড়াও সমর্থন রয়েছে বামেদের প্রতিও৷ স্বভাবতই , গাঁওতা প্রার্থী যে ভোট কাটবেন , তাতে তৃণমূল ও বাম উভয়েরই ক্ষতি৷

আর তাতে খানিকটা হলেও লাভের সম্ভবনা বিজেপির৷ বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ইতিমধ্যেই গাঁওতার বিষদাঁত উপড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন৷ যা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকেছেন রবীন সোরেন৷ যদিও , রামপুরহাট কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য , 'ভাঁড়কাঁটা অঞ্চলের বাইরে ওদের প্রভাব কোথায় ? আর আদিবাসীদের সমর্থন কার দিকে রয়েছে , স্পষ্ট হয়ে যাবে ভোটের পরেই৷ '

বট্যানিক গার্ডেনে ফের মাছের মৃত্যু

$
0
0

সুপ্রকাশ চক্রবর্তী ■ হাওড়া

তীব্র গরম পড়তেই হাওড়ার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বট্যানিক গার্ডেনে ফের মাছ মরতে শুরু করেছে৷ মাছের মড়ক শুরু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন প্রাতর্ভ্রমণকারীরা৷ তিন দিন ধরে বাগানের কিংস লেকে একের পর এক মাছ মরে ভেসে থাকায় দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে৷ বাগানের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ যে বিশাল বটগাছটি , সেখানেও দুর্গন্ধ পেয়ে প্রাতর্ভ্রমণকারীরা ওই লেকের ধারে যান৷ তখনই মাছ ভেসে থাকতে দেখেন তাঁরা৷

বট্যানিক গার্ডেন ডেইলি ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তাপস দাস জানান , তাঁরা দেখেছেন মোটামুটি ৪ -৫ কেজি ওজনের ৫ -৬ টি রুই -কাতলা মাছ মরে ভাসছে৷ তখনই তাঁরা বাগানের নিরাপত্তারক্ষীদের বিষয়টি জানান৷ তাপস বলেন , 'দিন তিনেক ধরে মাছ মরছে৷ কয়েকদিন আমি আসতে পারিনি , তবে অন্যরা আমাকে ঘটনাটি জানান৷ আজ (মঙ্গলবার ) এসে মাছ মরে যাওয়া চাক্ষুষ করি৷ যাঁরা এই গরমে বিকেলের দিকে বাগানে ঘুরতে আসছেন , তাঁরাও মূল আকর্ষণ বটগাছটির কাছে যেতে পারছেন না৷ তবে কেউ কেউ আবার মরা মাছ ভেসে থাকা দেখতেও ভিড় করছেন৷ 'কল্লোল মজুমদার নামে এক পর্যটক বলেন , 'লেকগুলি তো কচুরিপানায় ভর্তি৷ চারিদিকে দুর্গন্ধ৷

মাছ মরে জলে ভাসছে৷ বাগানে তো লোকে আসে একটু মুক্ত বাতাস নিতে৷ সেখানে এই গরমে দুর্গন্ধযুক্ত বাতাস নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে৷ ' স্থানীয় বাসিন্দা আশাবরী সরকার বলেন , 'গত বছরও মাছ মরেছিল৷ প্রতিবছর কেন মাছ মরছে ? বাগানের রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতি আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা উচিত৷ ' আর এক বাসিন্দা তাপস দাস বলেন , আগে বি গার্ডেনে ৩০টি লেক ছিল৷ গঙ্গার জোয়ার -ভাটা খেলত লেকের জলেও৷ ক্রমে লেকের সঙ্গে গঙ্গার সংযোগ নালা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে৷ লেকগুলিও দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি৷ কচুরিপানা আর আগাছা ভরে যাওয়ায় লেকের জলও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷

এর ফলেই মাছ মরছে৷ ' বট্যানিক গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর অরবিন্দ প্রামাণিক বলেন , 'প্রাতর্ভ্রমণকারীদের কাজ প্রাতর্ভ্রমণ করা নাকি বাগানের কোথায় কি দোষত্রুটি আছে সে সব খুঁজে বার করা ?' তিনি বলেন , 'বড় পুকুরে এ রকম মাছ মরতেই পারে৷ কয়েকটি মরা মাছ তুলে ফেলে দেওয়া হয়েছে৷ আচমকা মারাত্মক গরম পড়ে যাওয়ায় , গরম জলে হয়তো ওদের শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে৷ আমরা কিছু কচুরিপানা তুলে দেব বলে ঠিক করেছি৷ সব কচুরিপানা তো তোলা যাবে না৷ ' গঙ্গার জল ঢোকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন , 'লেকগুলিতে জল ঢুকতে ঢুকতে কিছু কিছু জায়গা বন্ধ হয়ে যায় , আবার সেগুলি পরিষ্কার করতে হয়৷

এটা চালু প্রক্রিয়া৷ বন্ধ হচ্ছে আবার পরিষ্কারও হচ্ছে৷ আমাদের লোকবলও কম আছে৷ আস্তে আস্তে সব কাজই হবে৷ ' ২০১২ সালের ২৩ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় , জলাশয় দূষণমুক্ত রাখতে হবে৷ কিন্ত্ত তার পরের বছরই বাগানের সাদির লেকের জল পচে গিয়ে কয়েকশো মাছ মরে যায়৷ বাগানের অবশিষ্ট ২৪টি লেক গত বছর সংস্কারের কাজ শেষ হয়নি বলে অভিযোগ৷ বি গার্ডেনে যাঁরা নিয়মিত আসেন , তাঁরা বলছেন , গঙ্গার জল মাত্র একটি লেকেই ঢুকছে৷

Viewing all 87249 articles
Browse latest View live


<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>