বর্ধমান শিল্পাঞ্চলে ভোটের আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল আসানসোল মহকুমার জামুড়িয়া , রানিগঞ্জ উত্তপ্ত হয়ে আছে৷ তবে রানিগঞ্জে তেমন বড় কোনও সংঘর্ষ না হলেও আসানসোলের ৬টি বিধানসভার ভোটে দিনভর শিরোনামে রইল জামুড়িয়া৷ সোমবার আসানসোলের মহকুমার প্রথম ঘটনাটি ঘটে জামুড়িয়া গ্রামের হেভিমোড়ের কাছে৷ জামুড়িয়ার ৭৬ থেকে ৮১ নম্বর বুথের ৬ সিপিএমের নির্বাচনী এজেন্সিকে আটকায় লাঠিধারী কয়েক জন৷ প্রথমে বচসা ও পরে মারধর৷ অবিনাশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচনী এজেন্ট জীবন রুইদাসকে মেরে তাঁর মাথা ফাটানো হয়৷ তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে মার খান পাশের বুথের এজেন্ট সিপিএমের গৌতম কুণ্ডু৷ এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়৷ সিপিএমের নির্বাচনী এজেন্ট মনোজ দত্ত অভিযোগ করেন , দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের সমর্থক৷ এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার ও একজনকে আটক করেছে পুলিশ৷ গোলমাল মিটলে ভোট শুরু হয়৷
কিন্ত্ত কিছুক্ষণ পরই মনোজ খবর পান বাইপাসের ধারে এক তৃণমূল সমর্থকের জিমখানায় প্রচুর তাজা বোমা রাখা আছে৷ পুলিশকে খবর দিলে তারা দুই বস্তা বোমা উদ্ধার করে৷ পরে বম্ব স্কোয়াড ছাড়া পুলিশ নিজেরাই জলে ডুবিয়ে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে৷ বোমা পাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তৃণমূল প্রার্থী ভি শিবদাসন৷ সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতেই সিপিএম নেতা মনোজ দত্ত ও শিবদাসনের বচসা বেধে যায়৷ শিবদাসন অভিযোগ করেন , 'ওখানে সিপিএম বোমা রেখেছে৷ আমরা আগেই বলেছিলাম সিপিএম বীরভূম থেকে ও ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতীদের এনেছে৷ ওরা বুঝে গেছে ভোটে হেরে যাবে৷ ' বিজেপি -সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থকরা ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে৷ খবর পেয়ে তৃণমূল সমর্থকরাও আসে৷ লাঠি বাঁশ নিয়ে মারামারি শুরু হলে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে লাঠিচার্জ করে অবস্থা সামাল দেয়৷
দুপুর আড়াইটে নাগাদ কেন্দ্রা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় বেশ কিছু কাগজের টুকরো ছড়িয়ে আছে৷ তাতে ইংরেজিতে লেখা 'সাবধান , আওয়ার ভিলেজ হ্যাজ মেনি অ্যান্টিসোশ্যাল ওয়েটিং '৷ প্রশ্ন ওঠে , এটা কি ভয় দেখানোর জন্য ? নাকি আতঙ্ক ছড়ানো ? এটা নিয়ে অবশ্য ভোটাররা মুখ খোলেননি৷ ৭০ বছরের বৃদ্ধ রামদাস বলেন , 'ভোট ভালোই হচ্ছে৷ এখানে শান্তিতে ভোট হয়৷ 'জামুড়িয়ার ৫২ নম্বর বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্ট রাকেশ শর্মা জাল ভোট দিতে বাধা দিলে তাঁকে মেরে মাথা ফাটানো হয়৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি প্রার্থী ওই বুথের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে দোষীদের গ্রেন্তারের দাবি তোলেন৷ এর মধ্যেই জামুড়িয়ার ৫১ ও ৫২ নম্বরে বুথে গান্ধী কলোনি থেকে ভোটাররা ভোট দিতে আসছিলেন৷
বিজেপির অভিযোগ , তাঁদের আটকে দেয় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা৷ খবর পেয়ে ছুটে আসেন বিজেপি প্রার্থী সন্তোষ সিং৷ তাঁর সাথে আইটিবিপির এক পুলিশ আধিকারিকের বচসা হয়৷ বচসার পর পুলিশ চলে গেলে দুষ্কৃতীরা সন্তোষবাবুর গাড়িতে ইট ছোড়ে৷ কোনও মতে নিজের গাড়ি নিয়ে তিনি সেখান থেকে চলে যান৷ জামুড়িয়াতে দিনের শেষে বড় ঘটনাটি ঘটে বিকেল চারটে নাগাদ৷ জামুড়িয়ার একেবারে ভিতরের দিকে একটি গ্রাম সত্তর৷ লাল মাটির রাস্তা দিয়ে গ্রামে যেতে হয়৷ এখানেই এ দিন বিকেলে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়৷ তাতে দু'পক্ষের ৯ জন আহত হন৷ এদের মধ্যে সাত জনই তৃণমূল সমর্থক৷ চার জনকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ও ৫ জনকে আকালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
গ্রামের ভেতর সিপিএম কর্মী দুর্গাদাস বাউরির বাড়িতে আগুন লাগানো হয়৷ গ্রামে এই সংঘর্ষ ও আগুনের ছবি করতে গেলে গ্রামবাসীরা সাংবাদিককে ঢুকতে দেননি৷ পুলিশও বাধা পায়৷ পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী , র্যাফ , দমকল নিয়ে গ্রামে ঢোকে৷ আকালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আহতদের চিকিত্সার সময় তৃণমূল প্রার্থী ভি শিবদাসন বলেন , '২০১১তে সিপিএম আমাদের রবিন কাজিকে খুন করেছিল৷ এখানে আগেও আক্রমণ করেছে , ছাপ্পা , জাল ভোটের প্রতিবাদ করেছিল আমাদের সমর্থকরা৷ তাই ওদের মেরে আগুন জ্বালিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা হয়৷ আমাদের চার জন নিখোঁজ আছে পুলিশকে জানিয়েছি৷ ' সিপিএমের নির্বাচনী এজেন্ট মনোজ দত্ত বলেন , 'ওরাই ছাপ্পাভোট দিচ্ছিল৷ আমাদের লোকেরা প্রতিবাদ করায় ওরা তাদের মারে৷ আমাদের সমর্থকের বাড়িতে আগুন লাগায়৷ ' সিপিএম দাবি করেছে তাদেরও চার কর্মী আহত৷
জামুড়িয়া দখলে দিনভর সংঘর্ষে শাসক -বিরোধীরা
তৃণমূলের ডেরায় ভোট দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে সূর্যকান্ত
সরু মোরাম রাস্তা দিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্রের বোলেরো সবে ঢুকেছে বৈরামপুরে৷ সকাল সওয়া নটা৷ বৈরামপুর মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের বুথের দিকে যখন সূর্য যাচ্ছেন , তখন পুকুরপাড় দিয়ে হন্তদন্ত হয়ে হেঁটে আসতে দেখা গেল এক মাঝবয়সি ব্যক্তিকে৷ পরনে কালো স্ট্রাইপড টি -শার্ট, প্যান্ট৷ সঙ্গে ক'জন যুবক৷ চড়া গলায় মাঝবয়সিকে বলতে শোনা গেল , 'এত গাড়ি এসেছে কেন গ্রামে ? মিডিয়া কেন এই গ্রামে এসেছে ?' এই প্রতিবেদককে আঙুল উঁচিয়ে রক্তচক্ষু মাঝবয়সির প্রশ্ন, 'কে আপনি ? এখানে কী করছেন ?' সিপিএম রাজ্য সম্পাদক তখন কথা বলছিলেন বুথে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের সঙ্গে৷ আঙুল তুলে সূর্যকান্তকে প্রশ্ন, 'আপনি বুথে কী করছেন ?' ঠান্ডা মাথায় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক নিজের গলার প্রার্থী -পরিচয়পত্র দেখালেন৷ বললেন , 'আমি প্রার্থী৷ ' আপনি কে ? মাঝবয়সির উত্তর , 'আমি পঞ্চায়েত প্রধান৷ ' বুথে আপনি কী করছেন ? 'না আমার ভোট হয়ে গেছে৷ ' ভোটার কার্ড আছে ? 'না কার্ড হারিয়ে গেছে৷ '
এই কথোপকথন যখন চলছে তখন অদূরে বালতি হাতে এক মহিলা অশ্রাব্য ভাষায় সূর্যর বাপান্ত করছেন৷ যা দেখে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক গ্রামবাসী জানালেন 'উনি হলেন অনিতা ধর৷ উনিই আসলে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান৷ কালো গেঞ্জি পরা লোকটি ওঁর স্বামী অজয় ধর৷ ' মিনিট পনেরো বৈরামপুরে থেকে সূর্যকান্ত যখন পরের গন্তব্যের দিকে , ততক্ষণে তিনি বুঝে গিয়েছেন সামনে আরও কঠিন পথ৷ নারায়ণগড় বিধানসভায় তৃণমূল জয়ী হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে এসে ডালের বড়া খাবেন বলেছেন৷ বিধানসভায় সূর্যকান্তকে মমতা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন , 'নারায়ণগড়ে ফের ভোটে জিতে এসে দেখান৷ ' গত লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল৷ তাই নিজে ভোটের দিন মাঠে নেমে সামনে থেকে লড়াই না করলে পরাজয় যে অবশ্যম্ভাবী তা কটক মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনীর অজানা নয়৷ দলের রাজ্য সম্পাদক হিসেবে কর্মীদের বুথে মাটি কামড়ে থেকে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন সূর্যকান্ত৷ এটা করতে গিয়ে অন্তত পাঁচ জায়গায় তৃণমূলের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে৷
খালিনা এলাকায় আবার অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হল তাঁকে৷ বুথের দিকে যাওয়ার পথে হাতে মিনারেল ওয়াটারের বোতল নিয়ে হাজির কয়েক জন যুবক৷ সূর্যকান্তকে তারা বার বার বলতে থাকে , 'স্যর এই জল শুধু আপনার জন্য এনেছি৷ আপনি নিন৷ ' ফাটা রেকর্ডের মতো এই কথা বলতে থাকায় সূর্য বলতে বাধ্য হন , 'জল আছে আমার কাছে৷ আপনারা চাইলে আমার গাড়িতে দিয়ে দিন , রেখে দেবে৷ ' কথায় কথায় জানা গেল উপযাচক হয়ে মিনারেল ওয়াটার দিতে চাওয়া যুবকের নাম সুশান্ত ধল৷ তিনি ১৩ নম্বর বাখরাবাদ অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্য৷ বুথ থেকে সূর্য বেরিয়ে আসার পর তাঁর সঙ্গে তাগড়াই জওয়ানকে দেখে ভ্যানিশ হয়ে গেল জলসত্রের দায়িত্ব নেওয়া এই যুবকেরা৷ নারায়ণগড় রক্ষা করার জন্য সিপিএমের নীল -নকশা তৈরি করা হয়েছে অনেক আগেই৷ গত কয়েক মাসে ধারাবাহিক ভাবে জমি তৈরির চেষ্টা হলেও কয়েক ডজন বুথে সিপিএম কিছুতেই দাঁত ফোটাতে পারছিল না৷ এ দিন সূর্যকান্ত অত্যন্ত কৌশলে তৃণমূলের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হওয়া ২৩টি বুথে পর পর যাওয়ার ছক তৈরি করেছিলেন৷ একেবারের জন্যও সিপিএমের শক্ত ঘাঁটিগুলিতে যাননি তিনি৷ তৃণমূল প্রভাবিত এলাকাগুলিতে গেলেই প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে পড়বেন তা জানতেন তিনি৷ এ দিন সকালে খাকুড়দায় নিজের ভোট দিতে না দিতেই তিনি জানতে পারেন বড়মোহনপুরে সিপিএমের পোলিং এজেন্ট রেখা মণ্ডলকে বুথে যেতে বাধা দেওয়া হয়৷ ভোট দিয়েই সটান বড়মোহনপুরে গিয়ে ওই পোলিং এজেন্টকে বুথে বসার ব্যবস্থা করেন সূর্য৷
তাই পাতলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাঁকে ঘিরে ৪০ -৫০ জনের তুমুল বিক্ষোভেও একবারও মাথা গরম করেননি তিনি৷ এই গ্রামে সূর্যকান্তর গাড়ি এসে পৌঁছতেই হইহই করে মহিলা -পুরুষের এই দল ঘিরে ধরে তাঁকে৷ সূর্যকান্তর সঙ্গে তাঁর দুই সরকারি নিরাপত্তা রক্ষী এবং সিপিএমের বেলদা জোনালের নেতা সুধাংশু বেরা৷ নেতার কাছে গিয়ে তাঁর মুখের উপর একজন বললেন , 'বাবু এসেছেন পাঁচ বছর পরে আমাদের দেখতে !'পরিচয় জানতে চাইলেন বিক্ষোভকারী বললেন , 'আমি কালীপদ দাস৷ তৃণমূল করি৷ আগে বামফ্রন্ট করতাম৷ ৩৪ বছরে এরা কিছু করেনি৷ ' উঠল স্লোগান , 'কঙ্কালকাণ্ডের নায়ক দূর হঠো৷ তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ৷ ' আরতি গুঁই নামে এক মহিলা বললেন , 'আমার ছেলের জন্য একটা সই চাইলেও সিপিএম নেতাদের কাছে সই পাওয়া যেত না৷ এখন মুখ দেখাতে এসেছে৷ লজ্জা করে না ?' মন্টু নামে এক তৃণমূল কর্মীর কটাক্ষ , 'সূর্যবাবু আপনি নিজের খাকুড়দা বুথ বাঁচান৷ '
তৃণমূল নেতা মুকুল রায় সব শুনে বলেছেন , 'ওঁকে কে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তার দায় আমরা নেব কেন ? যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে তাদের গায়ে কি তৃণমূলের জামা পরানো ছিল ?'কোথাও আবার শাসক দলের রাগ গিয়ে পড়ে মিডিয়ার উপর৷ এক যুবক সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিলেন , 'আপনাদের একটা গাড়ি যদি আটকে দিই তখন কী করবেন ? এদের (সিপিএম সমর্থকদের ) রাতে বাঁচাবে কে ? আপনারা আসবেন বাঁচাতে ?' দলের সমর্থকদের এই হুমকিকে মান্যতা না দিলেও মিডিয়াকে দুষতে ছাড়ছেন না তৃণমূল প্রার্থী প্রদ্যোত্ ঘোষ৷ তাঁর যুক্তি , 'মিডিয়া ১৪ -১৫টি গাড়ি নিয়ে সূর্যবাবুর সঙ্গে যাচ্ছিলেন৷ বুথ জ্যাম হয়ে যাচ্ছিল৷ তাই মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছে৷ ' এই পর্ব পর্যন্ত কোনও জায়গায় সিপিএম কর্মীদের সূর্যকান্তর পাশে এসে দাঁড়াতে দেখা যায়নি৷ পাতলির বিক্ষোভকারীদের অনেকেই দাবি করলেন তাঁরা আগে বামফ্রন্ট সমর্থক ছিলেন এখন তৃণমূল করছেন৷ যা শুনে পরে সূর্যকান্তর বক্তব্য , 'এঁরা বামফ্রন্ট থেকে তৃণমূলে গিয়েছেন ভালোই হয়েছে৷ '
এই উত্তাপ বাঁকিবাজারে গিয়ে সিপিএম ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির চেহারা নিল৷ বাঁকিবাজারের ঠিক আগে নন্দকিশোরপুর বুথে সূর্যকান্ত পৌঁছতেই তৃণমূল সমর্থকরা , 'সিপিএম দূর হঠো ', 'সূর্যকান্ত মিশ্র দূর হঠো ' স্লোগান দেয়৷ এখানে পাল্টা স্লোগান দেন সিপিএম কর্মীরা৷ বাঁকিবাজারেও সূর্যকান্ত যাওয়ার পর একই ভাবে স্লোগান পাল্টা স্লোগান চলতে চলতে হাতাহাতির চেহারা নেয়৷ কাছে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী মৃদু লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় মারমুখী উভয়পক্ষকে৷ যদিও এই বিক্ষোভ , স্লোগানকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা৷ দিনভর এই টহলের মধ্যে দুপুরে ঘণ্টাখানেকের জন্য বেলদা জোনাল অফিসে এসে মুড়ি ও তরকারি খান তিনি৷ বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন , 'আমার ময়দানে থাকাই ওদের রাগের কারণ৷ এটা হতাশার , পরাজয়ের লক্ষণ৷ এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি৷ এই সংস্কৃতি যদি সংক্রামিত হয় , যদি ওদের জনতা চোর চোর বলতে শুরু করে তখন কী করবেন ?'
যদিও এই বিক্ষোভের নেপথ্যে তৃণমূলের ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছেন নারায়ণগড়ের তৃণমূল প্রার্থী তথা তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোত্ ঘোষ৷ তাঁর বক্তব্য , 'সূর্যবাবু নিজের এলাকায় যান না৷ তাঁকে কেউ দেখতে পায় না৷ তাই মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে৷ 'সিপিএম রাজ্য সম্পাদক অবশ্য জয় নিয়ে আশাবাদী৷ যে নীল -নকশা করেছিলেন সেই অনুযায়ী দিনভর প্রায় ১৬ -১৭ টি বুথে ঘুরে বিকেলে হাজির হলেন নারায়ণগড় লোকাল কমিটি অফিসে৷ চেয়ারে বসে ফুরফুরে মেজাজে স্থানীয় এক খুদে পড়ুয়ার সঙ্গে দিব্যি আলাপ জমালেন৷ কথার ফাঁকে বললেন , 'আমি ফলাফলের বিষয়ে আশাবাদী৷ তবে ৭৭ '-এর পরে এই প্রথম বুথে বুথে ঘুরলাম৷ শাসক দলের সন্ত্রাসের জন্যই এটা আমাকে করতে হল৷ ' যা শুনে প্রদ্যোতের কটাক্ষ , 'ভোটের ফলে সূর্যবাবু বুঝতে পারবেন৷ ' যদিও ফুরফুরে মেজাজে রাতেই কলকাতায় ফিরেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র৷
হুল -ফুটেজ আনতে ৩ সদস্যের কমিটি
এই সময় : নারদের স্টিং ভিডিয়ো দিল্লি থেকে সংগ্রহ করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ ওই কমিটিতে কারা থাকবেন , সোমবারই প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর এবং বিচারপতি অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ তা জানিয়ে দিয়েছে৷ আদালতের নির্দেশ , কমিটিতে থাকবেন রাজ্য পুলিশের আইজি পদমর্যাদার একজন অফিসার , সিবিআইয়ের একজন আধিকারিক এবং কলকাতা হাইকোর্ট নিযুক্ত একজন অফিসার৷
রাজ্য পুলিশের ডিজি ওই আইজি পদমর্যাদার অফিসারকে বাছাই করবেন৷ সিবিআইয়ের কলকাতার ডিআইজি হয় নিজে এই কমিটিতে থাকবেন , অথবা একজন আধিকারিককে নিয়োগ করবেন৷ আজ , মঙ্গলবার হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে আদালতের নির্দেশ সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে জানিয়ে দিতে হবে৷ তার পর দু'পক্ষকেই জানাতে হবে কোন অফিসারকে তাঁরা কমিটিতে রাখতে চান৷ এই কমিটির গতিবিধি সম্পূর্ণ গোপন রাখতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে বেঞ্চ৷ দিল্লি থেকে ওই গোপন ক্যামেরার ফুটেজ এবং যে ক্যামেরায় ওই ফুটেজ নেওয়া হয়েছিল , সেটি সংগ্রহ করার জন্য আদালতের এমন কমিটি গঠনের নির্দেশ নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন আইনজ্ঞরা৷
মামলাকারীরা চেয়েছিলেন , এ দিনই স্টিং -কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিক আদালত৷ আর নারদের হুল -বিদ্ধ অভিযুক্ত শাসকদলের নেতা -মন্ত্রীদের তরফে আইনজীবীরা চেয়েছিলেন , যেনতেনপ্রকারে সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ হোক৷ এ দিন আদালতের নির্দেশে আপাতদৃষ্টিতে তাই কারও হার -জিত হয়নি৷ কিন্ত্ত তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশেও শাসকদলের নারদ -অস্বস্তি রয়েই গেল৷ এখনও রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পাঁচ দফা বাকি৷ ভোট প্রক্রিয়া চলবে আরও প্রায় একমাস ধরে৷ আদালত বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়ায় পরিষ্কার , নারদের হুল এখনও তৃণমূলের পিছু ছাড়ছে না৷ আদালত এই মামলাটি যাতে গ্রহণ না -করে , প্রথম থেকে তারই যুক্তিজাল সাজানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তপক্ষ৷ আগামী শুক্রবার , ১৫ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে৷ নারদ শুনানি ঘিরে এ দিন আদালতকক্ষেও কার্যত শাসক -বিরোধী রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে যায়৷
দিল্লিতে নারদের সিইও ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে স্টিংয়ের ফুটেজ কে সংগ্রহ করবে , তা নিয়ে আইনি টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল অবশ্য আগের দিনই৷ মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ওই ফুটেজ সিবিআইয়ের হেফাজতে রাখার জন্যই বারবার আর্জি জানান৷ এই সময়ই অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর তরজা বেধে যায়৷ কল্যাণের অভিযোগ , তাঁকেই উদ্দেশ করে 'চোর ' বলে মন্তব্য ছুড়ে দেন বিকাশ৷ এর পরই তেড়েফুঁড়ে ওঠেন কল্যাণও৷
একেবারে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ শানান বিকাশের উদ্দেশে৷ কল্যাণ বলেন , 'আমরা দেখেছি , আপনারা ৩৪ বছরে কী করেছেন৷ আপনার হাতেও রক্ত লেগে৷ পাঁচ বছর মেয়র থাকাকালীন আপনি কী করেছেন , জানি৷ এমন সব কাজ করেছেন যে আর পরের ভোটে দাঁড়ানোর সাহস পাননি৷ ' যদিও আদালতকক্ষে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটেননি বিকাশ৷ পরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন , 'ব্যক্তিগত এই আক্রমণ অত্যন্ত কুরুচিকর৷ রাজনৈতিক আক্রমণ রাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই হওয়াটা বাঞ্ছনীয়৷ আদালতে তাই এর জবাব দেওয়া শ্রেয় বলে মনে করিনি৷ 'আদালতের এ দিনের রায়ের প্রেক্ষাপটে রয়েছে নারদ গোষ্ঠীর সিইও ম্যাথুর পক্ষ থেকে করা দু'টি বিশেষ আর্জি৷ বেঞ্চ এর আগে ম্যাথুকে স্টিং অপারেশনের অসম্পাদিত ভিডিয়ো এবং ব্যবহূত ক্যামেরা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়৷
ম্যাথুর তরফে রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায় হলফনামা দিয়ে জানান , এ রাজ্যে ফুটেজ দিতে নিরাপত্তার অভাববোধ হচ্ছে৷ অসম্পাদিত ফুটেজ ও ক্যামেরা জমা করতেও নিরাপত্তার ঝুঁকি থেকে যায়৷ বিমলের আর্জি ছিল , অসম্পাদিত ভিডিয়ো ফুটেজ ও ক্যামেরা কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে জমা করার অনুমতি দিক আদালত৷ ম্যাথুর সেই আর্জি অবশ্য পুরোপুরি মানেনি আদালত৷ ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে , কমিটির ওই তিন জন দিল্লি গিয়ে ম্যাথুর কাছ থেকে ভিডিয়োর অসম্পাদিত ফুটেজ সংগ্রহ করবে৷ এ ছাড়াও সদস্যেরা স্টিং অপারেশনের জন্য ব্যবহূত ক্যামেরা যন্ত্রটিও সংগ্রহ করবে৷ সংগ্রহ হওয়া সমস্ত ফুটেজ ও যন্ত্রপাতি আনা হবে কলকাতায়৷ এর পরই হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে কোথায় এবং কার হেফাজতে সেই জিনিসপত্র সংরক্ষিত রাখা হবে৷ এ ছাড়া ম্যাথুকে নতুন করে নির্ভুল হলফনামাও জমা দিতে হবে৷ এর আগে লোকসভার এথিক্স কমিটি ম্যাথুর কাছ থেকে ঘটনার অসম্পাদিত ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছিল৷ সেই ফুটেজ ইতিমধ্যেই এথিক্স কমিটিতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ম্যাথু৷
আত্মসমর্পণ মন্দিরের ৭ সদস্যের, মৃতদের চিহ্ণিত করতে এবার DNA পরীক্ষা
কোল্লাম ও তিরুবন্তপুরমের অনেক হাসাপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রায় ৩০০জন। হাসপাতালের মর্গে বেশ কয়েকটি দেহ পড়ে রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে এই দেহগুলি হতে পারে। তবে কেই এই দেহগুলি সনাক্ত করেননি। হাসাপাতল কর্তৃপক্ষের মতে, দেহগুলির ডিএনএ টেস্ট করে দেহগুলি সনাক্ত করা যেতে পারে। উদ্বিগ্ন মানুষগুলির কাছে এটাই শেষ আশা।ইতোমধ্যে গান্ধী বায়োটেকনোলজি সেন্টারে দেহগুলি থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির সাত সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন। মন্দির ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট জয়ালাল, সেক্রেটারি জে কৃষ্ণমূর্তি শিবাপ্রসাদ, সুরেন্দ্রন পিল্লাই ও রবীন্দ্রন পিল্লাই স্থানীয় থানায় আত্মসমর্পণ করেন এদিন। উল্লেখ্য, মন্দির কমিটির ১৫ জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার থেকেই তদন্ত শুরু করেছে ক্রাইম বেঞ্চ।
বাড়ুক স্মার্ট ফোনের পরমায়ু
খুব জরুরি একটা ফোন আসার কথা৷ কিন্ত্ত তার আগেই ব্যাটারি শেষ হয়ে গিয়ে ফোন সুইচড অফ হয়ে গেলো৷ স্মার্ট ফোন থাকলে এই এক ঝক্কি৷ বাড়িতে থাকলে আলাদা কথা, ফের চার্জ দিয়ে নেওয়া যায়৷ কিন্ত্ত বাইরে সব সময় হাতের কাছে চার্জার নাও থাকতে পারে৷ বা থাকলেও ফোন চার্জ করার সুযোগও যে থাকবে তাও নয়৷ এমন একটা পরিস্থিতিতে আমরা প্রায়ই পড়ি৷ ভয়ে ভয়ে থাকি, এই বুঝি স্মার্ট ফোনের চার্জ খতম হয়ে গেলো৷ অর্থাত্ ফোন স্মার্ট হলেও ব্যাটারি তত স্মার্ট নয়৷
তবে কয়েকটা টিপস আছে, যা মেনে চললে ফোনের ব্যাটারি আরও একটু দীর্ঘস্থায়ী হবে৷ প্রথমেই ফোনের ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন৷ যদিও বেশিরভাগ স্মার্ট ফোনের অটো ব্রাইটনেস ফিচার আছে, তবে ম্যানুয়ালিও ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমিয়ে দেওয়ার অপশন পাবেন৷ এর ফলে আপনার ফোনে ব্যাটারির আয়ু আর একটু বেশিক্ষণ থাকতে পারবে৷ এই ভাবে ল্যাপটপেরও ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমিয়ে দিতে পারেন৷ আপনার স্মার্টফোনে নিশ্চয় নানা ধরনের ওয়ালপেপার ব্যবহার করুন৷ ফোনে যাতে ব্যাটারি আর একটু বেশিক্ষণ থাকতে পারে, এমন ওয়ালপেপার লাগান, যাতে অনেকটা অংশ কালো৷ কারণ আপনার স্মার্ট ফোনের ওয়ালপেপারের সেই রঙিন অংশই একমাত্র আলোকিত হবে৷ কিন্ত্ত কালো পিক্সেল আলোকিত করার দরকার পড়েনা৷
ফলে ওয়ালপেপারের বেশিরভাগ অংশ কালো হলে, ব্যাটারি কম পুড়বে৷ স্বাভাবিকভাবেই আপনার ব্যাটারির আয়ুও বাড়বে৷ স্মার্ট ফোন থাকবে, কিন্ত্ত তাতে কোনও অ্যাপ থাকবে না, সেটা তো হতে পারে না৷ আর অনেক অ্যাপ আছে, যা আমাদের নানা কাজকে অনেক সহজ করে দেয়৷ তবে ওয়াইফাই চালু থাকাকালীন আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত অ্যাপ ডাউনলোড করুন৷ তাতে ব্যাটারির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে না৷ ওয়াইফাই ইন্টারনেট থেকে অ্যাপ আপডেট করার সময় আপনার স্মার্ট ফোন যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়ার কনজিউম করতে পারবে৷ তাছাড়া সম্ভব হলে স্মার্টফোনে চার্জ দিয়ে অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন৷ ফোনে ইন্টারনেট করার সময়, হু-হু করে ব্যাটারি পুড়তে থাকে৷ তাই যখন আপনার ফোনে ইন্টারনেট দরকার হবে না, তখন স্মার্ট ফোনটিকে ফ্লাইট বা এরোপ্লেন মোডে রাখুন৷ এর ফলে সমস্ত ওয়্যারলেস ফিচারগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেবে৷
ফলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে ঘন ঘন নোটিফিকেশন আসা বন্ধ করে দেবে৷ ফলে ফোনের ব্যাটারিও থাকবে৷ অথবা ফোন 'ডু নট ডিস্টার্ব' মোডেও রাখতে পারেন৷ ফোনে আর কোনও নোটিফিকেশন ঢুকতে পারবেনা৷ আরও একটা কথা মাথায় রাখুন৷ সাশ্রয় করতে গিয়ে কখনওই খারাপ মানের ব্যাটারি ব্যবহার করবেন না৷ তাহলে ফোন যেভাবেই ব্যবহার করুন না কেন, ব্যাটারি জলদি খতম হবেই৷ ভালো মানের ব্যাটারি কিনুন৷ এবং যে ব্র্যান্ডের ফোন কিনেছেন, সেই ব্র্যান্ডের আসল ব্যাটারি ব্যবহার করুন৷
সারাদিন নালিশের বন্যা , গ্রাহ্যই করল না কমিশন
এই সময় : বিক্ষিপ্ত গোলমাল হয়েছে নানা জায়গায় , কিন্ত্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটে বড় ধরনের হিংসা এড়াতে পারায় স্বস্তিতে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য প্রশাসন৷ বেশ কিছু স্পর্শকাতর এলাকায় বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ করলেও তা খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ প্রবল তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করেও দিনের শেষে ভোট পড়েছে প্রায় ৮০ %৷ এই পর্বের ভোটে বেশ কিছু জায়গায় কঠিন লড়াই ছিল শাসক দল তৃণমূলের৷ কিন্ত্ত দিনের শেষে আত্মবিশ্বাসী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ যদিও বহু জায়গায় বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে 'প্রহসন ' বলেছে এই নির্বাচনকে৷ নারায়ণগড়ে দিনভর ঘুরে অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জোটের তারকা প্রার্থী সূর্যকান্ত মিশ্র৷
সোমবার বাঁকুড়া , পশ্চিম মেদিনীপুর ও বর্ধমান শিল্পাঞ্চলের ৩১টি আসনে ভোটে বিক্ষিন্ত ভাবে গোলমালের খবর এসেছে৷ কমিশনে জমা পড়েছে ১৮০০ -রও বেশি অভিযোগ৷ ভোটারদের ভয় দেখানো , বুথে এজেন্টকে মারধর এমনকি বিরোধী দলনেতাকে ঘিরে বিক্ষোভের খবর এল জামুড়িয়া , কেশপুর , নারায়ণগড় থেকে৷ কুলটিতে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হয় পোলিং অফিসারকে৷ রানিগঞ্জে তৃণমূল নেতা সোহরাব আলি দলের প্রার্থী তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ঢুকে পড়ায় ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ এফআইআর করা হয়েছে সোহরাবের বিরুদ্ধে৷ জামুড়িয়া , চন্দ্রকোনায় বাম এজেন্টকে মারধরের খবর এসেছে৷ জামুড়িয়ায় মাথা ফেটেছে এক সিপিএম এজেন্টের৷ এক বাম সমর্থকের বাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বিকেলে জামুড়িয়ার সত্তর গ্রামে সিপিএম -তৃণমূল সংঘর্ষে আহত হন সাত তৃণমূল সমর্থক-সহ ৯জন৷ সবংয়ে ভোট দিয়ে ফেরার পথে এক কংগ্রেস সমর্থকে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে৷
উত্তেজনা ছিল কেশপুরেও৷ সেখানে বেশ কিছু জায়গায় বিরোধী এজেন্টদের মারধর , বাম সমর্থকদের ঘর থেকে বেরোতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ গরগজপোতা ও চড়কা গ্রামে বোমাবাজি ও সংঘর্ষে দুই পক্ষের তিনজন আহত হন৷ সিপিএমের অভিযোগ অবশ্য মানতে চায়নি শাসক দল৷ ইটাহারে এক জনসভায় বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , 'জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরে এল৷ কমরেডরা বলতে শুরু করল মানুষ ছক্কা দিয়েছে৷ ওটা ছক্কা না অক্কা না লবডঙ্কা সেটা ব্যালট খুললেই দেখা যাবে৷ আজ যারা বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে মানুষ তাদের পতন ঘটিয়ে ধরাশায়ী করবে৷ 'এবং বিরোধীদের মনোবলও কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে এ দিনের ভোটের পর৷ বাঁকুড়া প্রায় ঘটনাশূন্য থাকলেও বিক্ষিন্ত ভাবে গোলমালের খবর এসেছে বর্ধমান শিল্পাঞ্চল ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কিছু এলাকা থেকে৷ শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয় দেখানো , বুথের চারপাশে ভিড় করা , বাইকবাহিনী নিয়ে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা৷
কিন্ত্ত ঘটনা হল , বাম -কংগ্রেস জোট হলেও এ দিন লড়াইয়ের ময়দানে তেমন ভাবে প্রতিরোধ করতে দেখা যায়নি জোটকে৷ সন্ধ্যায় দিল্লিতে উপ নির্বাচন কমিশনার সন্দীপ সাক্সেনা এ দিনের ভোটকে পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ বলেন৷ তিনি জানান , বুথে বা নির্বাচন কেন্দ্রের চত্বরে কোনও গোলমাল হয়নি৷ গোটা পনেরো রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর কমিশনের কাছে এলেও খবর আসামাত্রই সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ পাঠিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ এমনকি সূর্যকান্ত মিশ্রকে তৃণমূলের হেনস্থা করা নিয়েও নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ আসেনি বলে জানিয়েছেন সাক্সেনা৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অভিযোগের জবাবে কমিশনের সাফ কথা , প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রে বাহিনী ছিল এবং কোনও কেন্দ্রের ভিতরে কোনও গোলমাল হয়নি৷ এমনকি পর্যবেক্ষকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও মানতে চায়নি কমিশন৷ কিন্ত্ত সারাদিন ধরে যে বিভিন্ন দলের এজেন্টদের পেটানোর খবর নিয়ে সরগরম থাকল মিডিয়া , তার বেলা ? সাক্সেনার জবাব , 'এটা ঠিক মিডিয়াতে কয়েকটা রিপোর্ট এসেছিল , কিন্ত্ত সেগুলি ঠিক নয়৷ '
কমিশন অভিযোগ অস্বীকার করলেও দিনভর 'সন্ত্রাসের ' অভিযোগে সোচ্চার ছিল বিরোধীরা৷ নারায়ণগড়ে অন্তত পাঁচ জায়গায় তৃণমূলের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় এই কেন্দ্রের প্রার্থী ও বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রকে৷ পরে তিনি বলেন , ১৯৭৭ সালের পর এ রকম সন্ত্রাস আগে কখনও হয়নি৷ বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন , 'আমার ময়দানে থাকাই ওদের রাগের কারণ৷ এটা হতাশার , পরাজয়ের লক্ষণ৷ ' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বহরমপুরে বলেন , 'কমিশন যে তর্জন -গর্জন গোড়ায় করেছিল , তা যে কিছুই নয় , তা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ আসলে মোদী ও মমতা যে এক হয়ে গিয়েছেন , তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা৷ ' সবং ও কুলটির বেশ কিছু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবিও করবে কংগ্রেস৷ রিগিং , ছাপ্পার অভিযোগে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নীলোত্পল বসু দিল্লিতে কমিশনের সদর দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দেন৷ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন , 'আমরা সিইওকে এখনই অপসারণের কথা বলছি না৷ তবে দিল্লিতে কমিশনের দন্তরে রবিবারই এ নিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন কমরেড নীলোত্পল বসু৷'
বিমানের অভিযোগ , 'এটা কেন্দ্র-রাজ্য গোপন আঁতাঁত৷' যদিও সিপিএম সূত্রের খবর , নারায়ণগড় , সবং , ডেবরা , খড়গপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী , নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা মোটের উপর সন্তোষজনক৷ এটাকে ভালো লক্ষণ বলেই মনে করছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক৷ তাঁর কথায় , 'প্রথম পর্বের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা নির্বাচন কমিশনকে বাড়তি সতর্কতা নিতে বলেছিলাম৷ দ্রুত হস্তক্ষেপের কথা বলেছিলাম৷ ' সূর্যকান্তর কথায় , 'কমিশনের উপর আমাদের বাড়তি কোনও মোহ নেই৷ আমরা মানুষের উপর আস্থা রাখছি৷ 'বিজেপির তরফেও কমিশনে অভিযোগ করার কথা জানানো হয়েছে৷ রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , 'কমিশনের ভূমিকায় আমরা খুশি নই৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয়নি৷ সিদ্ধার্থনাথ সিং দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দন্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন৷ ' এ দিনের ভোটের পর আলাদা ভাবে কোনও সাংবাদিক বৈঠক করেনি তৃণমূল কংগ্রেস৷ তবে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে মুকুল রায় বলেন , 'সাধারণ মানুষ যে ভাবে ভোট দিয়েছে তাতে আমরা খুশি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে মানুষ আস্থা রেখেছেন৷ গতবার এই ৩১টির মধ্যে আমরা ১৯টি আসনে জিতেছিলাম৷ এ বার ৩১টিতেই জিতব৷ '
ট্রাস্ট শপ: দোকানদার নেই, নিজেই দাম দিয়ে জিনিস কিনুন
বেঙ্গালুরুর ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডের ভারত গল্ফ ভিউ অ্যাপার্টমেন্টের লবিতে রাখা আছে একটি ছোট রেফ্রিজারেটর। তাতে রয়েছে ইডলি/দোসা মিক্সের স্যাশে, রেডি টু কুক হুইট চাপাটি/পরোটা আরও অনেক কিছু। গ্রাহকরা যাচ্ছেন, যা লাগবে ফ্রিজের দরজা খুলে নিচ্ছেন, আর পাশের বাক্সে টাকা ফেলে দিচ্ছেন।
বিশ্বাসে ভর করে এমনই স্টোর তৈরি করেছেন পিসি মুস্তাফা। নাম দিয়েছে আইডি ফুডস। শহরজুড়ে গত এক মাসে এমন ১৭টি স্টোর তৈরি করেছেন তিনি। পাবলিক প্লেসে কোনও নজরদারিবিহীন এই স্টোরে থাকছে তাঁর কোম্পানির তৈরি জনপ্রিয় ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের উপকরণ। এই ট্রাস্ট শপের মূল কনসেপ্টই হল, গ্রাহকদের বিশ্বাস করা।
মুস্তাফার দাবি, 'বর্তমান বিশ্বে যখন যাবতীয় মূল্যবোধ হারিয়ে যেতে বসেছে, তখন এধরনের ভাবনায় ইতিবাচক ফিডব্যাক মিলেছে গ্রাহকদের থেকে।' পাইলট প্রজেক্টে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়ে এবার হায়দরাবাদ, মুম্বই ও চেন্নাইয়ে এই ট্রাস্ট শপ খোলার কথা ভাবছেন তিনি।
এর আগে লন্ডনে এই ধরনের ট্রাস্ট শপ তৈরি করেছিলেন ডেভিড ওয়াটারহাউস। একটি ডাবল ডেকার বাসে তাঁর তৈরি এই ট্রাস্ট শপ দেখে অনেকে বলেছিলেন, উন্মাদ হয়ে গিয়েছেন ওয়াটারহাউস।
কৌলিন্য নয়, কাজই হোক বেতনের মাপকাঠি
পয়লা এপ্রিল তো এগারো দিন আগেই কাটিয়ে এসেছি, তা হলে মঙ্গলবার সক্কাল সক্কাল এমন আকাশকুসুম রিপোর্ট লেখার মানে কী? এটাই ভাবছেন তো?
মানছি ভাবার যথাযথ কারণ আছে। কারণ মে ডে শুনেছেন, ভ্যালেন্টাইনস ডে শুনেছেন, ফাদার্স ডে, মাদার্স ডে-- এ সবই বিশেষ দিন সম্পর্কে বেশ ভালোই জানেন, কিন্তু হঠাত্ করে এই ইক্যুয়াল পে ডে-র আবির্ভাব হল কোথা থেকে তার আগাগোড়া বুঝে উঠতে পারছেন না। আসলে কী বলুন তো, এই বিষয় নিয়ে চর্চা করতে কাউকে বিশেষ শোনা যায় না। তাই এই দিনের অস্তিত্ব সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল নন সিংহভাগ মানুষই।
ইক্যুয়াল পে ডে-- অর্থাত্ একই রকম কাজ করার জন্যে সবাই একই বেতন পাবেন। সেখানে কোনও রকম বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু এখানে সামান্য টুইস্ট আছে। এই দিনটি চিহ্নিত করা হয়েছে বিশেষ করে মহিলাদের কথা মাথায় রেখেই। আরও খানিকটা খোলসা করে বলা যাক। গ্লাস সিলিংয়ের কথা শুনেছেন নিশ্চয়ই? অর্থাত্ কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য যেখানে মহিলারা বা সংখ্যালঘুরা কাজের তুলনায় কম বেতন পান।
এই বৈষম্য থেকে তৈরি হয় ক্ষোভ, নষ্ট হয় কাজের পরিবেশ। কর্মক্ষেত্রে যাতে বেতন নিয়ে কোনও ফারাক না থাকে, এবং এক ধরনের কাজ করার জন্যে একটি প্রতিষ্ঠানে সবাই যাতে এক পরিমাণ বেতন পান, তা সুনিশ্চিত করতে ১৯৬৩ সালে তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি পাশ করেন ইক্যুয়াল পে অ্যাক্ট। এই অ্যাক্ট পাশ হওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুরুষ এবং মহিলারা এক ধরনের কাজ করার জন্যে সমান বেতন পান। এই অ্যাক্টের বিরুদ্ধে যাওয়াকে বেআইনি বলেই ধরা হয়।
শুধু আমেরিকা নয়, সম বেতনের কথা উল্লেখ রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের ১০০ নম্বর কনভেনশনে। বিশ্বের মানচিত্রের কথা তো হল। কিন্তু এ দেশে এখনও নজর ফেরালে কেবল বৈষম্যই চোখে পড়ে। শুধু যে পুরুষদের তুলনায় এ দেশের মহিলারা কর্মক্ষেত্রে কম বেতন পান তা নয়, এমন আখছাড়ই হয়, একই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের একেক রকম বেতন। কারও বেতন হয়তো বেড়েই চলেছে, আবার কারও বেতন এমনই বেড়েছে যে তা বিশেষ কোনও ফারাক ফেলেনি তাঁর দৈনন্দিন জীবনে।
ইক্যুয়াল পে ফর অল--- এই নিয়ে সরগরম সারা দুনিয়া। কিন্তু এর কতটা সুপ্রভাব এদেশের কর্মক্ষেত্রে পড়বে, তা সময়ই বলবে।
মুম্বইয়ে বহুতলে বিধ্বংসী আগুন, আতঙ্কে ছাদ থেকে ঝাঁপ
থানের ভিওয়ান্ডির ঘটনা। ওই বহুতলেই ছিল একটি তাঁতের কারখানা। মঙ্গলবার সকালে হঠাত্ই সেখানে আগুন লেগে যায়। খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে উপরের তলায়। বিধ্বংসী আগুনে বহুতলে আটকে পড়েন প্রায় ১৫০ জন। থানে ও কল্যাণ দমকল বাহিনীর ১০টি ইঞ্জিন প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ভয়াবহ আগুনে আটকে পড়ে বহুতলের ছাদে দাঁড়িয়ে সাহায্য চাইছেন অসহায় মানুষজন। পরে মই-এর সাহায্যে আটকে পড়া ব্যক্তিদের নিরাপদে নীচে নামাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। পরে ক্রেন দিয়ে সবাইকে নামিয়ে আনে দমকল।
আতঙ্কে বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আহত হয়েছেন তিনজন। তাঁদের আইজিএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেদে ছড়াচ্ছে ক্যান্সার!
সম্প্রতি সেল রিপোর্টস নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে একটি গবেষণা। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, LDL বা ব্যাডকোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে রাশ টানা সম্ভব হবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে টিউমার লিপিডকে বিল্ডিং ব্লক হিসেবে ব্যবহার করে। VLDL এবং LDL-এ থেকে লিপিড শুষে নিয়ে ক্রমেই বাড়তে থাকে শরীরের ভিতরের টিউমার।
কানাডার অ্যালবের্তা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অস্ট্রিয়ার গ্রাজ মেডিকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক দীর্ঘদিনের গবেষণার পর এই তথ্য পেয়েছেন। টিউমার শুধুমাত্র লিপিডকে বিল্ডিং ব্লক হিসেবেই ব্যবহার করে না, শরীরের লিপিড মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয় যাতে বেশি পরিমাণে লিপিড তৈরি হয়।
অ্যালবের্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গবেষক রিচার্ড লেহনার জানিয়েছেন, 'টিউমার লিভারকে সিগনাল পাঠায় বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরলের প্রয়োজন জানিয়ে। লিভার সেই ভাবে রিপ্রোগ্রাম হয়ে যায় এবং বেশি পরিমাণে লিপিড নিঃসৃত করে।'
এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে গবেষকরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। লিভার যদি LDL নিঃসরণের মাত্র কমিয়ে দেয়, তাহলে টিউমারের গ্রোথও আস্তে আস্তে কমে যাবে। LDL-এর নিঃসরণ কমাতে নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন প্রোটিন নিঃসরণের উপরেও।
কুস্তির আখড়ায় 'হরিয়ানা কি শান' সুলতান
আলি আব্বাস জাফর পরিচালিত এই ফিল্মের টিজার প্রকাশিত হল মঙ্গলবার। টিজারে দেখা গিয়েছে, কুস্তির আসরে এন্ট্রি হচ্ছে 'হরিয়ানা কি জান' ও 'হরিয়ানা কি শান' রেসলার সুলতান আলি খানের। ব্যাকগ্রাউন্ডে সুলতান চিত্কার যেন আরও শক্তি জোগাচ্ছে 'সুলতান' সলমনকে।
যশ রাজ ফিল্মসের এই ফিল্মে রয়েছেন অনুষ্কা শর্মা। সুলতানের কোচের ভূমিকায় অভিনয় করবেন রণদীপ হুদা ও সুলতানের ভাইয়ের ভূমিকায় রয়েছেন অমিত সাধ।
দেখুন সুলতানের টিজার...
সলমনের সুলতান ৬ জুলাই ইদের সময় শাহরুখের রইসকে টক্কর দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
'দেশভক্ত' কিনা প্রমাণ দিতে কিনতে হবে পতঞ্জলির প্রডাক্ট!
কী আছে সেই বিজ্ঞাপনে? সংবাদপত্রে প্রকাশিত পতঞ্জলির দন্তকান্তি টুথপেস্টের বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, 'কোটি কোটি দেশভক্ত ভারতীয়ের মতো, দোকানদার ও গ্রাহকরা নিজেদের দোকানে ও হৃদয়ে পতঞ্জলির জিনিসকে স্থান দিয়ে, এই পরিষেবায় অংশগ্রহণ করুন ও দেশের উন্নতি করুন। কারণ আপনারা জানেন, পতঞ্জলির জিনিসকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। আমাদের প্রডাক্ট ব্যবহার করলে মহাত্মা গান্ধী, ভগত সিং ও রামপ্রসাদ বিসমিলের স্বপ্ন পূরণ হবে, কারণ তাঁরা সবসময় চেয়েছেন দেশের নাগরিকরা স্বদেশি জিনিস ব্যবহার করুন।'
ক্রেতাসুরক্ষা আইনজীবী মহম্মদ খালিদ জিলানি এই বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে অ্যাডভার্টাইজিং স্ট্যান্ডার্ড কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (ASCI)-এ অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর মত, 'এই বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে অন্যান্য দেশভক্তদের মতোই প্রত্যেকের পতঞ্জলির জিনিস ব্যবহার করা উচিত। যাঁরা পতঞ্জলির প্রডাক্ট ব্যবহার করেন না, এই বিজ্ঞাপন তাঁদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বিজ্ঞাপনে এই দাবি করা হয়েছে যে, কেউ দেশপ্রেমী হলে তাঁকে পতঞ্জলির জিনিস ব্যবহার করে তার প্রমাণ দিতে হবে। পাশাপাশি, প্রডাক্ট বিক্রির তাগিদে এই বিজ্ঞাপনে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে, যেটা অনুচিত।'
অভিযোগ গ্রহণ করে ASCI জিলানিকে জানিয়েছে, এ বিষয়ে পতঞ্জলির ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার তরফে পতঞ্জলির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তাঁদের তরফে কারও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
‘রাজনীতিতে আমার ছবি ব্যবহার বন্ধ হোক’
'যত বার এই ছবি ব্যবহার করা হয় আমার জীবন ততটাই কঠিন হয়ে যায়। কাল হয়তো এ পেছনে আমার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন মানুষজন। যাঁরা আমায় চেনেন তাঁরাও প্রশ্ন করবেন আমায়। ৪৩ বছর বয়স হয়ে গেল আমার। ঘটনার পর ১৪ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলির আমায় ব্যবহার বা অপব্যবহার করার খেলা বন্ধ হল না। শুধু রাজনৈতিক দল কেন, বিভিন্ন বলিউড থেকে সন্ত্রাসবাদী দল কেউ বাদ যায়নি। মাঝে মাঝে মনে হয় এর থেকে তখন মরে গেলেই বোধ হয় ভালো হত। আমার সন্তানরা আমায় জিজ্ঞাসা করে, বাবা যখনই তোমার ছবি দেখি তুমি হাতজোড় করে ভিক্ষে কর কেন? বিশ্বাস করুন কোনও উত্তর দিতে পারি না।'
এক টানা কথা বলে থামলেন তিনি। ২০০২ সালের পর কলকাতায় ৬ বছর কাটিয়েছেন। কিন্তু অসুস্থ মায়ের আবেদন ফেরাতে পারেননি। তাই ২০০৮-এ ফের ফিরে গিয়েছিলেন গুজরাটে। এখনও সেখানে দর্জির কাজ করে তিন সন্তান প্রতিপালন করছেন। কষ্টের সংসার। তবে রাজনৈতিক দলগুলির কাজে কষ্ট আরও বাড়ছে। আনসারির কথায়, 'নিজেদের স্বার্থে আমার ছবি ব্যবহার করে। ওরা কি বোঝে না এতে আমার জীবন আরও দুর্বিসহ হয়ে ওঠে?'
তিনি আরও বলেন, 'এই ছবিটা আমায় প্রাণে বাঁচিয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে মিডিয়া সে দিন ছিল তাই বেঁচে গিয়েছিলাম। কিন্তু এটা আমার জীবনের বাকি সব কিছু যেন কেড়ে নিয়েছে। আমার মানসিক শান্তি, আমার চাকরি। মৌলবাদী হিন্দু সংগঠনগুলি আমায় দেখলে টার্গেট করার চেষ্টা করত। এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আমার অনুমতি ছাড়াই আমার ছবি ব্যবহার করে। আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম যাতে এটা বন্ধ হয়। কিন্তু তা কাজে আসেনি।'
এর জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার মতো অভিযোগও তাঁকে শুনতে হয়েছে। আনসারি বলেন, 'যত বার আমার ছবি দলগুলি ব্যবহার করেছে, তত বারই অন্য দল মনক্ষুন্ন হয়েছে। আমি দেশের বহু জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। সেখানে আমায় চেনার পর বহু বিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ হাতজোড় করে আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সব ধর্মেই ফ্যাসিস্ট মানুষ রয়েছে, তা ইসলামই হোক বা হিন্দু। আমার অনেক বন্ধু রয়েছেন যাঁরা বিভিন্ন ধর্মের মানুষ। কিন্তু তাঁদের কাছ থেকে কখনও খারাপ ব্যবহার পাইনি। আমি এখন যাঁরা কারখানায় কাজ করি তিনিও একজন হিন্দু। তাঁর মতো সহৃদয় ব্যক্তি আমি দু'টি দেখিনি।'
পাতালে পাইপ পেতে ১০,০০০ লিটার তেল সরাল মাফিয়ারা
মুম্বই উপকূলে সমুদ্রের গভীরে পাতা পাইপলাইন থেকে তেল চুরির ঘটনা নতুন নয়। তবে ভূখণ্ডে তেল চুরির উদ্দেশে পাইপলাইন পাতার ঘটনা এর আগে ধরা পড়েনি। সেউরিতে ভারত পেট্রোলিয়ামের মূল পাইপলাইন থেকে বেস অয়েল চুরির জন্য পাতা ১.৫ ইঞ্চি ব্যাসযুক্ত পাইপ আবিষ্কারের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
তদন্ত শুরু হয়েছিল গত অক্টোবর মাসে। সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ১১ জনের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযোগ দায়ের করল মুম্বই পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে আপাতত ৬ জন ফেরার। বিপিসিএল-এর অভিযোগ, গত ৯ মাসে মোট ১০,০০০ লিটার তেল চুরি হয়েছে। পুলিশের দাবি, চোরাই পাইপের সাহায্যে তেল সরিয়ে গভীর রাতে তা মালবাহী গাড়িতে পাচার করেছে দুষ্কৃতীরা। এক আধিকারিকের মতে, 'আমাদের ধারণা, এ শুধু হিমবাহের শিখর মাত্র। চুরির সঙ্গে নিরাপত্তার অভাবও উদ্বেগজনক। ক্ষয়-ক্ষতির মোট পরিমাণ নির্ণয় করতে সময় লাগবে।'
কী ভাবে চুরি হয়েছে তেল?
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, মাটির নীচে বিপিসিএল-এর জোগান লাইনের পাইপে ড্রিল করে চোরাই পাইপ জুড়েছিল পাচার চক্র। পাইপ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ২০০ মিটার দূরে গঙ্গাবৌডির পোর্ট ট্রাস্টের জমি পর্যন্ত। সেখানে বিদ্যুত্ চালিত মোটরের সাহায্যে তেল পাম্প করে আরও দেড় কিমি দূরে রাখা ড্রামে রাখার ব্যবস্থা হয়। জানা গিয়েছে, রেল লাইনের তলাতেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে চোরাই পাইপলাইন। পুলিশের দাবি, রেললাইনের কাছে খোঁড়াখুঁড়ির সময় বাধা দিলে রেলওয়ের এক রক্ষীকে হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, বাজারের অর্দ্ধেক দামে চোরাই তেল বিক্রি করা হত। দুষ্কৃতীদের ডেরায় হানা দিয়ে ১০,০০০ লিটার চোরাই তেল উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘ নয় মাস ধরে তেল চুরির ঘটনায় ভারত পেট্রোলিয়ামের কয়েকজন নিরাপত্তা আধিকারিক জড়িত থাকতে পারেন বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের মতে, এই পাচারচক্রের চাঁই এক মহিলা। স্থানীয় মহলে তিনি 'ভাবি' নামে পরিচিত।
উল্লেখ্য, প্রতিদ্বন্দ্বী চাঁদ মাদারকে হত্যার অভিযোগে তেল মাফিয়া মহম্মদ আলি গ্রেপ্তার হওয়ার পর মুম্বইয়ের তেল পাচার ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। এই সময় বেশ কয়েকটি ছোট দল এলাকা শাসন করতে নেমে পড়ে। তেল মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযানে মুম্বই পুলিশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এসিপি (সেউড়ি বিভাগ) যশবন্ত ভাটকর। এর আগেই অবশ্য পুলিশর জালে ধরা হড়েছে তেল পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য ফিরোজ শহনওয়াজ শেখ, সেলিম মামদানি, শমিউল্লাহ বেগ, কিরণ বারসিংঘে এবং হেমন্ত নাকওয়া। অভিযুক্তরা বেশির ভাগই ওয়াদালা, সেউড়ি এবং ডোংরি এলাকার বাসিন্দা।
বিদায় বিনু, পথদুর্ঘটনায় শেষ হল মহিলা বাইকারের অভিযান
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: এমনি মেয়ে, তার উপর আবার বাইকে চড়ে টো-টো করে ঘুড়ে বেড়ানো! ভালো নজরে দেখেনি পরিবারের সদস্যরাই। তবে কোনও কথাই কানে তোলেনি মেয়ে। একটু বড় হতেই বন্ধুদের বাইক নিয়ে ঘুড়ে বেড়িয়েছেন। বিয়ের পরে তো স্বামী বাইক চালানোটাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তাতেও হাল ছাড়েননি ভারতের অন্যতম 'বেস্ট' মহিলা বাইকার বিনু পাল্লিওয়াল।
এত বিপর্যয়ের মধ্যেও এগিয়ে গিয়েছিলেন নিজের লক্ষ্যে। নিজের ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিয়ে ছিলেন বেশি। মঙ্গলবার বিকেলে মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলায় বাইক স্কিট করে মারা গেলেন দুই সন্তানের মা।
৪৪ বছর বয়সী ভেন্নির বাড়ি জয়পুরে। হার্লে ডেভিডশন ছিল সব সময়ের সঙ্গী। তাতে চেপেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুড়ে বেড়ানোর নেশা চেপে বসেছিল ভেন্নুর মাথায়। একটি ডকুমেন্ট্রির কাজ করতে গিয়ে এই নেশা আরও চেপে বসে। গোটাটাই বাইকে চেপেই ডকু তৈরি করার প্ল্যান করেছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ভোপালের ১০০ কিমি দূরেই বাইক স্কিড করে মারা যান এই সেরা মহিলা বাইকার। তাঁর সহযাত্রী দীপেশ তানওয়ার অন্য আর একটি বাইকে ছিলেন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিদিশা জেলা হাসাপাতালে নিয়ে গেলে বিনুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
সোমবার খুব সকালে লক্ষ্ণৌও থেকে বাইক নিয়ে রওনা হয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর সময় তাঁর পরনে ছিল বাইকার স্যুট।
জয়পুর, ইন্দোর, মুম্বইয়ের বন্ধু ও পরিবারকে বিনু পাল্লিওয়ালের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন পুলিশ। মঙ্গলবার পোস্টমোর্টেমের পর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেবেন পুলিশ।
আরও সস্তা হল Uber, ১০টি শহরে কমল ভাড়া
ভাড়ায় এই ব্যাপক পরিমাণে ছাড়ের ফলে ভাইজাগ, নাগপুর, ইন্দোর এবং আহমেদাবাদে প্রতি কিলোমিটারে ৫ টাকা খরচ কমবে বলেই জানিয়েছে উবর সংস্থা।
ইন্দোর, নাগপুর, যোধপুর, উদয়পুর, ভাইজাগ, আহমেদাবাদ ছাড়াও ভাড়া কমেছে পুনে, আজমের, ম্যাঙ্গালোর এবং থিরুবনন্থপুরমেও।
একটি ব্লগে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, 'মানুষের সুবিধের কথা ভেবেই ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে UberGO-র ভাড়া। ভাড়া কমার ফলে আশা করা হচ্ছে দ্রুত বাড়বে যাত্রী সংখ্যা যা লাভজনক প্রমাণ হবে উবর চালকদের জন্যে। অকারণে বসে থাকতে হবে না যাত্রীর আশায়। বাড়বে প্রতি ঘণ্টায় ট্রিপের সংখ্যাও।'
বর্তমানে পৃথিবীর ৬৬টি দেশে মোট ৩৬১টি শহরে পাওয়া যায় উবর পরিষেবা। ভারতের মোট ২৬টি শহরে চলে উবর ক্যাব।
উবরের এই নতুন পদক্ষেপ চাপে ফেলতে পারে প্রতিপক্ষ ওলা সংস্থাকে। প্রসঙ্গত বেঙ্গালুরুর এই সংস্থা সম্প্রতি ১৩টি শহরে লঞ্চ করেছে OLA MICRO। ভাড়া কমিয়ে করা হয়েছে ৬ টাকা প্রতি কিলোমিটার। সংস্থার দাবি, এই পরিষেবা লঞ্চ করার পর ব্যবসা বেড়েছে কয়েকগুণ। ওলার এই সুবিধে পাওয়া যাচ্ছে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা, হায়দরাবাদ, পুনে, জয়পুর, আহমেদাবাদ, চণ্ডীগড়, ভুবনেশ্বর, কোয়েম্বাটোর এবং গুয়াহাটিতে।
হাসপাতাল থেকে বেরোলেই গ্রেপ্তার হতে পারেন রাহুল
ওই পুলিশ অফিসার বলেন, 'আমরা এখনই রাহুলকে গ্রেপ্তার করতে পারি। তবে তাতে লাভের লাভ কিছু হবে না। এখন অসুস্থতার কারণে ওঁকে সরকারি হাসপাতালে রাখতে হবে। তাতে পুলিশি হেফাজতের জন্য পাওয়া সময় নষ্ট হবে। আমাদের কোনও তাড়া নেই। কারণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ওকে শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে। যে দিন ও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবে সে দিনই গ্রেপ্তার হবে।'
অন্য দিকে, দ্রুত তদন্তের দাবিতে মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টের বাইরে আজ প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন প্রত্যুষার বাবা-মা। তা ছাড়া আজ রাহুলের আগাম জামিনের শুনানিও রয়েছে আদালতে। যাতে জামিন মঞ্জুর না হয় তার জন্য এই প্রতিবাদ সভা। সভায় সামিল থাকছেন প্রত্যুষার আইনজীবী নীরজ গুপ্তা। তিনি প্রথমে রাহুলের হয়ে মামলাটি লড়ছিলেন। পরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরে তিনি মামলা থেকে সরে আসেন। সাংবাদিক সম্মেলন করে তা জানিয়েও দেন।
এ দিকে, আরও দুই অভিনেত্রী রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রথমজন দক্ষিণের অভিনেত্রী কেশা খাম্বাতি। তিনি অভিযোগ করেন, রাহুল তাঁর কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে আর ফেরত দেননি। টাকা চাইতে গেলে হুমকি দেন। একটি পার্টিতে রাহুলের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল কেশার। পরে সেখান থেকে বন্ধুত্ব হয় তাঁদের। মামলাটিতে রাহুলকে অন্ধেরির একটি আদালত ১৩ মে-র মধ্যে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
হীর প্যাটেল নামে আরও এক উঠতি অভিনেত্রী অভিযগ করেন, সিনেমা তৈরি করবেন বলে রাহুল তাঁর কাছ ২৫ লক্ষ টাকা নেন। ছবিতে হীর-কে মুখ্য নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করাবেন বলে টোপ দেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর থেকেই অন্য রূপ দেখা যায় রাহুলের। এই দু'টি মামলাও লড়ছেন নীরজ গুপ্তা। তিনি এ দিন বলেন, 'যদি পুলিশ দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তবে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।'
থ্রি ইডিয়টস-মুন্নাভাই-PKএর লেখক জানালেন হিট হওয়ার রেসিপি
আমদাবাদে বিশ্বকোষ ভবনে দু ঘণ্টার বক্তৃতায় নিজের বেশকিছু চমকপ্রদ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন পিকে-র লেখক। জানালেন, আমদাবাদের পুরনো হাউজিং কলোনি তাঁকে পিকে-এর একটি দৃশ্য তৈরির অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তিনি নিজে চোখে দেখেছেন, এধরনের গলিঘুঁজি এলাকায় নিজের বাড়ির দেওয়ালে প্রস্রাব করা আটকাতে নানা প্রচেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন বাড়ির মালিক। এমনকী, ওইসব বাড়ির দেওয়ালে দেবদেবীর ছবি লাগিয়েও কাজ হয়নি। অবশেষে তিনি থ্রি ইডিয়টস-র Rancho-র দাওয়াই অ্যাপ্লাই করেন।
ওই মুভিরই ভাইরাস চরিত্রের সংলাপ 'লাইফ বিগিনস উইদ আ মার্ডার' আসলে তাঁর বাবার অতি ব্যবহৃত একটি লাইন, মুচকি হেসে জানালেন অভিজাত।
তাঁর মতে, 'বিনোদনই ফিল্মের মূল উপাদান। আপনাকে নিজের ভাবনাচিন্তার প্রয়োগ করতে হবে। দর্শকের টেস্ট অনুযায়ী নিজের গল্পের চরিত্র বদলানোর চেষ্টা করবেন না। প্রত্যেক ফিল্ম লেখার সময় ভাবুন, সেটাই আপনার শেষ দৃশ্য।'
জীবনের সবচেয়ে কঠিন দৃশ্য সৃষ্টির বর্ণনা দিতে গিয়ে জোশি বলেন, 'জনপ্রিয় গুজরাতি কবি নিরঞ্জন ভগতের একটা কর্মশালায় আমি অংশ নিয়েছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, তাঁর কমিউনিস্ট ফরাসি বন্ধু আন্দ্রে সোয়ার্জের কথা, যাঁকে খুন করছিল নাত্সীরা। ওরা যখন আন্দ্রেকে প্যারিসের রাস্তা দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে, তখনও তিনি চিত্কার করছিলেন - বুলেট কখনও ভাবনাচিন্তাকে খুন করতে পারে না। এই কথাটাই আমাকে অনুপ্রেরণা জোগায় লগে রহোতে গান্ধীজীর একটি সংলাপ লেখার ক্ষেত্রে। যেখানে গান্ধীজী বলছেন, মেরি তিন গোলি মারকে হত্যা কি গয়ি, লেকিন মেরি বিচার কিসি না কিসি কে দিমাগ মে কেমিক্যাল লোচা করতে রহেঙ্গে।'
প্রতিবেদন সৌজন্য: নবগুজরাত সময়
কোম্পানির লোকসানে রাস্তায় হামা দিলেন কর্মীরা
গত আর্থিক বছরে তীব্র লোকসানের মুখ দেখেছিল চিনের জিলিন শহরের এক কার রেন্টাল সংস্থা। কর্মীদের টনক নাড়াতে অভিনব পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেন সংস্থার কর্ণধার। ঠিক করেন, বিষয়টিতে সংস্থার কর্মী এবং শহরবাসীর নজর কাড়তে রাজপথে হামাগুড়ি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। কর্তার সিদ্ধান্তে বাধ সাধেন কর্মীরা। বসের বদলে নিজেরাই হামা দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।
সেই মতো গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টিভেজা সড়কে চার হাতপায়ে হামা দিতে দেখা যায় জনা দশেক নারী-পুরুষকে। তাঁদের সকলেরই পরনে ছিল কর্পোরেট কর্মীদের পরিধেয় স্যুট-টাই-জুতো। অভিনব মিছিলের সামনে ছিলেন লাল পতাকাধারী এক ব্যক্তি। প্রায় ২০০ মিটার অতিক্রম করে শেষ হয় অভিনব মিছিল।
রাস্তায় অভিনব এই দৃশ্য দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন হতভম্ব পথচারীরা। কয়েক জন মোবাইল ফোন বের করে ছবি তুলতেও শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো ফুটেজ পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়।
ইউজারদের অনেকে সংস্থার কর্মীদের এই অপমানজনক আচরণের পিছনে কর্তৃপক্ষের মগজধোলাই রয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন। কেউ কেউ আবার সংস্থার কর্তাকে কটাক্ষ করেছেন। আবার বেশ কয়েকজন ঘটনাটি বিজ্ঞাপনী প্রচার বলতেও কসুর করছেন না।
জবাবে কার রেন্টাল সংস্থার কর্ণধার জানিয়েছেন, কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে তা যে শেষ পর্যন্ত এমন প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে, তা আন্দাজ করেননি।
'পদ্ম' লগ্নে গ্রেসফুল প্রিয়াঙ্কা-সানিয়া, আভিজাত্যে ভরপুর রজনী
মঙ্গলবারের পদ্ম পুরস্কার অনুষ্ঠানে উজ্জ্বল সোনালি হলুদ শাড়িতে সবার নজর কাড়েন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। কোয়ান্টিকোর দ্বিতীয় সিরিজের শ্যুটিং-এর জন্য আমেরিকায় ছিলেন পিগ্গি চপস। দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ সম্মান গ্রহণে ভারতে উড়ে আসেন তিনি। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণের পরই টুইটারে আবেগে ভাসেন বেওয়াচ গার্ল।
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের থেকে পদ্মবিভূষণ পুরস্কার গ্রহণ করলেন আভিজাত্যে ভরপুর রজনীকান্ত।
পদ্মভূষণ পুরস্কার পেলেন সঙ্গীতশিল্পী উদিত নারায়ণ।
বাহুবলীর পরিচালক এসএস রাজামৌলীর হাতে পদ্মশ্রী পুরস্কার তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি।
মঙ্গলবারই পদ্মভূষণ পুরস্কার গ্রহণ করলেন টেনিস সেনসেশন সানিয়া মির্জা।
এবার দু খেপে দেওয়া হল পদ্ম পুরস্কার। গত বছর নভেম্বরে প্রয়াত প্রবীণ অভিনেতা সৈয়দ জাফরিকে মরণোত্তর পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়।