এ দিন শ্রমিক মৃত্যুর খবর পেয়ে ক্ষোভ ছড়ায় চা বাগানে৷ ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বক্তব্য, বাগান বন্ধ থাকায় বহু শ্রমিক অপুষ্টিতে ভুগছেন৷ অর্থাভাবে অনেকেই চিকিত্সা করাতে পারছেন না৷ রেণু নায়েকের মৃত্যু এই সত্যকেই ফের সামনে এনে দিল৷ চা-শ্রমিকদের ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোর্তিময় তাঁতি৷ তাঁর পাল্টা দাবি, এর আগেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেণু দেবীর চিকিত্সার ব্যবস্থা হয়েছিল৷ চা বাগানে শ্রমিকদের সস্তার চাল ও গম দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি৷
মহকুমাশাসক বলেছেন, 'ডানকান গোষ্ঠীর চা বাগানগুলিতে প্রশাসন সামাজিক সহায়তা প্রকল্পগুলি চালাচ্ছে৷ সুতরাং অপুষ্টি কিংবা বিনা চিকিত্সার অভিযোগ ঠিক নয়৷'
এই সময়, শিলিগুড়ি: ডুয়ার্সে ডানকান গোষ্ঠীর নাগেশ্বরী চা বাগানে ফের এক মহিলা চা-শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে শুক্রবার৷ রক্তাল্পতায় ভুগছিলেন তিনি৷ মৃতের নাম রেণু নায়েক (৪৮)৷ বাগান বন্ধ হওয়ার পর ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি৷ তিন দিন আগে তাঁকে মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ এ দিন দুপুরে তিনি মারা যান৷ গত তিন মাসে ওই চা বাগানে মোট দশ জনের মৃত্যু হল৷