শনিবার সকাল থেকেই এটিএম কাউন্টারগুলির সামনে দীর্ঘ লাইন। সর্পিল লাইন দেখা গিয়েছে পেট্রোল পাম্পের সামনেও। তবে বেশিরভাগে পাম্পেরই তেল অমিল। আগুন ছুঁয়েছে দুধ, ওষুধপত্র সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। চেন্নাইয়ে আটকে পড়া অনেকেই এখন এই শহর ছেড়ে বেরোতে চাইছেন। বিমানবন্দরের রানওয়ে জলের তলায় ডুবে যাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরেই এই শহরে বিমান চলাচল বন্ধ। শনিবার অবশ্য ত্রাণের কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি বিমান চলাচল করেছে। রবিবার থেকে বাণিজ্যিক উড়ান চালু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সড়কপথে বেঙ্গালুরু গিয়ে সেখান থেকে দেশের অন্যত্র যাওয়ার চেষ্টা করছেন যারা, তাঁদের বাধ সেধেছে আকাশ ছোঁয়া বিমান ভাড়া। বৃহস্পতি ও শুক্রবার বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি যেতে এয়ার ইন্ডিয়ার বিজনেস ক্লাসের ভাড়া ছিল ৫১,৭৫০ টাকা। বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লির যাওয়ার জেট এয়ারওয়েজের ভাড়া ছিল ৪৭,০০০ টাকা। বেঙ্গালুরু থেকে আমেদাবাদ যাওয়ার ভাড়া ২০,০০০ টাকা এবং মুম্বই যেতে পড়বে ১৯,০০০ টাকা। এই ধরনের জরুরি অবস্থায় বিমান ভাড়ার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকে।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার মরিয়া চেষ্টায় এখন চেন্নাই। বিভিন্ন জায়গা এখনও জলের তলায় ডুবে থাকলেও, কিছুটা অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আংশিক ভাবে চালু হয়েছে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। শুধুমাত্র মেন লাইন দিয়ে এগমোর এবং তামাবারাম স্টেশনের মধ্যে চলছে ট্রেন। কোনও কোনও রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচলও শুরু হয়েছে। তবে চেন্নাই ও তার আশেপাশের বেশিরভাগ জায়গাতেই এখনও বিদ্যুত্ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।