Quantcast
Channel: Bengali News, বাংলা নিউজ, বাংলায় সর্বশেষ খবর, Live Bengali News, Bangla News, Ajker Bengali Khabar - Eisamay
Viewing all articles
Browse latest Browse all 87249

বাজি কারখানাই নেই, নারায়ণগড়ে ডিগবাজি পুলিশের

$
0
0

এই সময়, মেদিনীপুর: ছিল রুমাল হয়ে গেল বিড়াল৷ নারায়ণগড়ের বাজি কারখানায় শনিবারের বিস্ফোরণের পরদিন পুলিশের বয়ান বদলে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ বিস্ফোরণস্থলে কোনও বাজি কারখানাই ছিল না বলে রবিবার দাবি করে পুলিশ৷

তদন্তে অগ্রগতি সম্পর্কে প্রশ্ন করতেই এ দিন খড়গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ গুপ্তা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে বাজির অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি৷ অথচ এ দিনও বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷ সংবাদ মাধ্যমকে এলাকায় ঢুকতেই দেওয়া হয়নি৷ অথচ শনিবার পুলিশকর্মীরা হাতে করে বাজির প্যাকেট ফেলেছিলেন কারখানার পিছনের পুকুরে৷ সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল অগ্নিদ্বগ্ধ বাজির খোল৷

অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও জানিয়ে ছিলেন, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা এসে ঘটনাস্থল পরীক্ষা করবেন৷ অথচ রাত পোহাতেই বদলে গেল সেই বয়ান৷ বিস্ফোরণের পর পলাতক কারখানা মালিক মাধবচন্দ্র গিরিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্তা যেন আকাশ থেকে পড়েন৷

তিনি বলেন, 'গ্রেপ্তার হবে কেন? আমরা তদন্ত করে ওখানে বাজির কিছু খুঁজে পাইনি৷ কেউ মারাও যাননি৷ কোনও অভিযোগও নেই৷ আগুন লেগেছিল বলে দমকল সার্টিফিকেট দিয়েছে৷' যদিও দমকল অফিসার দিলীপ গুছাইত বলেন, 'প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত ছিল৷ বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, বাড়িটির ছাউনি ৩০-৪০ ফুট উপরে উঠে গিয়েছে৷ চারদিকে প্রচুর গাছ থাকায় আগুন ছড়াতে পারেনি৷'

বাজি কারখানার অস্তিত্ব পুলিশ এ ভাবে অস্বীকার করায় বিস্মিত এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বও৷ তাঁদের কারও বক্তব্যে উঠে এসেছে পিছন থেকে সিপিএমের মদত কিংবা 'বেশি রসদে'র কথা৷ পুলিশি ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা আবার বেআইনি বাজি কারখানার পাশাপাশি ওই এলাকায় চোলাই মদের ঢালাও কারবারে কথাও জানিয়েছেন৷ বিষয়টি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বেরও অজানা নয়৷ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান গৌর সিং বলেন, 'কোতাইগড়ে প্রচুর চোলাই মদের ভাটি রয়েছে৷ ভাটি বন্ধ করতে পুলিশ, আবগারি, সবাইকেই জানিয়েছি৷ কিন্ত্ত মদের ভাটি বন্ধ করা যায়নি৷'

এর পিছনে যে অবৈধ লেনদেনের জড়িত ইঙ্গিত দিয়ে গৌরবাবুর তাত্‍পর্যপুর্ণ মন্তব্য, 'যারা দু'টাকার মদের ভাটি তুলতে পারে না, তারা লক্ষ লক্ষ টাকার বাজি কারখানা তুলবে? সামান্য পঞ্চায়েত সদস্য হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে কিছু বলা উচিত নয়৷ আসল ব্যাপার হল এখানে রসদ অনেক বেশি৷' শনিবার কিন্ত্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশচন্দ্র মিনাও বলেছিলেন, 'ওই কারখানা সম্পূর্ণ বেআইনি৷ পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি৷'

স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, পিংলার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পুলিশ এ বার তৈরি হয়ে নেমেছে৷ সংবাদ মাধ্যমকে বিস্ফোরণ স্থলের কাছে ঘেঁষতে দেয়নি৷ বাজিই যদি না থাকবে, তবে রবিবারও কেন সংবাদ মাধ্যমকে ওখানে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে? অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রথমে বলেন, 'আগুন এখনও পুরো নেভেনি৷ কোথায় কী আছে জানি না৷ অপেক্ষা করুন৷ আগুন নিভলে ঢুকতে দেওয়া হবে৷' পরে আবার বলেন, 'অনেক এজেন্সি নমুনা সংগ্রহ করতে এখানে আসবে৷ তাই ঘটনাস্থলে কাউকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না৷'


Viewing all articles
Browse latest Browse all 87249


<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>