সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সাময়িক ছেদ টেনেছে ঢাকা। জানা গিয়েছে, এর ফলে প্রায় ৯০ শতাংশ সক্রিয় ফেসবুক ইউজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে ১০ শতাংশ ব্যবহারকারী কারিগরিভাবে বেশি দক্ষ হওয়ায় প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিত থাকছেন।
বিটিআরসি-র হিসাব বলছে, দেশে সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোট ৫ কোটি ৪০ লক্ষ। এর মধ্যে শুধু ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ। এঁদের এক বড় অংশ মোবাইল ফোন-সহ নানান হ্যান্ড ডিভাইসের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহার করেন।
বিটিআরসি-র চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জানিয়েছেন, দেশে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হলে ফের সোশ্যাল মিডিয়া চালু করা হবে। তিনি বলেন, জনগণের নিরাপত্তায় ফেসবুক-সহ সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হলেও প্রশাসনের অনুমতি মিললে তা আবার চালু করা হবে।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট যুদ্ধপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলি আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখার পর গত বুধবার থেকে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক মেসেঞ্জার ও ভাইবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, প্রক্সি সার্ভার-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বহু ইউজার সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনায়াস গতিবিধি বজায় রেখেছেন। জানা গিয়েছে, তাঁরা অনেকেই নেদারল্যান্ডস, আমেরিকা, জাপান সহ বিভিন্ন দেশের লোকেশনে ফেসবুক ব্যবহার করছেন।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় নিরাপত্তার কারণে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের উপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে প্রশাসনিক বাধা সত্ত্বেও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ফেসবুক-টুইটার-হোয়াট্সঅ্যাপ ব্যবহার করছেন ইউজারদের একাংশ।