রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে ২০১৩-র তুলনায় '১৪য় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এ দেশে ২০% বেড়েছে। তবে জঙ্গি হামলায় প্রাণহানি সেই তুলনায় বাড়েনি। ২০১৩-র থেকে বৃদ্ধি হয়েছে ১.২%। বেশিরভাগ মৃত্যুর জন্যই দায়ী লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিন। ২০১৪-য় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার কারণ মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। আর হিজবুল মুজাহিদিন মেরেছে ১১ জনকে। ২০১৪-য় অবশ্য এ দেশে একটিও আত্মঘাতী হামলা ঘটেনি।
সন্ত্রাসবীদের রমরমা বেড়েছে গোটা বিশ্বেই। ২০১৩-র তুলনায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়ে ৮০% ২০২৩-য় যেখানে জঙ্গি হানায় মৃত্যু হয়েছিল ১৮,১১১ জনের। সেখানে ২০১৪-য় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩২,৬৫৮। শুধু তাই নয়, রিপোর্ট বলছে গোটা বিশ্বে মোট সন্ত্রাসবাদী হামলার ৫১ শতাংশের জন্যই দায়ী আইসিসি এবং বোকো হারাম। ভারতের জন্য অবশ্য একটা আশার খবর। তা হল - ২০০০ সাল থেকে এই প্রথম জঙ্গি হানায় মৃতের নিরিখে প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে নেই ভারত।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: আরও গভীরে শিকড় ছড়াচ্ছে সন্ত্রাসবাদ। তার নিশানায় উঠে এসেছে গোটা বিশ্বই। ২০১৪-য় পৃথিবীজুড়ে ৮০% বেড়েছে জঙ্গি কার্যকলাপ। পিছিয়ে নেই ভারতও। সন্ত্রাসী হামলার বিচারে পৃথিবীর প্রথম ১০টি দেশের মধ্যেই রয়েছি আমরা। গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স-এর বিচারে, ২০১৪-য় কোন দেশে কতবার জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছে, তার ভিত্তিতে ভারতে রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। জঙ্গি হামলার প্রভাব কতদূর পড়েছে, সে বিষয়েই মোট ১৬২টি দেশের মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয়। ভারতের ঠিক আগে পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। আমেরিকার রয়েছে ৩৫-এ।