পোষাদের অন্ত্যেষ্টির জন্য শ্মশান হচ্ছে নিউ টাউনে৷ সল্টলেক , নিউ টাউনের প্রিয় পোষ্যদের অন্তেষ্ট্যির জন্য যেতে হত দক্ষিণ শহরতলিতে৷ সমস্যা এ বার মিটতে চলেছে৷ গত সপ্তাহে হিডকো বোর্ড পোষ্যদের জন্য তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এর জন্য নিউ টাউনে পাঁচ কাঠা জমিও চিহ্নিত হয়েছে৷ হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানিয়েছেন , ওই জমিটি -কে দেওয়া হচ্ছে৷ কারণ তারাই নিউ টাউনে পুর পরিষেবা দেয়৷ জমিতে শ্মশানটিও তারাই তৈরি করবে৷ এই শ্মশানে চুল্লির পাশাপাশি সুসজ্জিত লন এবং ফটো গ্যালারি -সহ একটি ভিজিটর্স রুমও থাকবে৷ এই চুল্লিটি বিদ্যুত্চালিত হবে নাকি গ্যাসচালিত , তা এখনও স্থির হয়নি৷ এই শ্মশান তৈরিতে কোনও আইনি জটিলতাও আছে কি না , সেটাও দেখা হচ্ছে৷
মানুষের সত্কার করার আগে ডাক্তারের দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেট লাগে৷ পশুদের ক্ষেত্রে এ রকম কোনও নিয়ম আছে কি না তা -ও দেখছে হিডকো৷ তবে এই শ্মশান তৈরির মূল উদ্দেশ্য হল মৃত মালিকের হয়রানি কমানো৷ সল্টলেকের বাসিন্দা , আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন , 'এখানে কুকুর মারা গেলে ময়লার গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়৷ এটা যেমন মানসিক ভাবে কষ্টদায়ক , তেমনি অস্বাস্থ্যকরও বটে৷ তাই হিডকোর এই প্রকল্পকে সাধুবাদ জানাচ্ছি৷ ' অরুণাভ নিজেও বাড়িতে কুকুর পোষেন৷ অভিনেত্রী পার্নো মিত্রর কথায় , 'আমাদের বাড়িতে একটি খরগোশ ছিল৷ সেটি মারা যাওয়ার পরে অন্য কোথাও জায়গা না পেয়ে আমাদের বাড়ির বাগানে তাকে মাটি দিতে হয়েছে৷ '
সল্টলেকে এ রকমের একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল বছর কয়েক আগে৷ তবে তা এখনও বাস্তবায়িত করতে পারেনি বর্তমান পুর নিগম৷ বিধানগর পুর নিগমের তত্কালীন চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন , 'আমরা পশুদের জন্য একটি শববাহী গাড়ি কেনার এবং মোল্লার ভেড়িতে মৃত পশুদের মাটি দেওয়ার জায়গা করার কথা ভেবেছিলাম৷ সেই অনুযায়ী কাজও এগিয়েছিল৷ তবে গত কয়েক মাসে তা কত দূর এগিয়েছে বলতে পারব না৷ 'সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ (যিনি আগের পুরবোর্ডেও একই দায়িত্বে ছিলেন ) দেবাশিস জানা বলেন , 'গত পুর বোর্ডে আমরা এই ক্রিমেটোরিয়াম তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম৷ গাছপালা লাগিয়ে ওই জায়গা তৈরির কাজ চলছে৷ তবে মাঝে বেশ কিছুটা সময় আমরা ক্ষমতায় না থাকায় ওই কাজে দেরি হয়েছে৷ এখন ওখানে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে , সেই কাজ শেষ হলেই আমরা পরবর্তী পর্যায়ের কাজে হাত দেব৷ '৷
তথাগত সেনগুপ্ত