যেই ভাবা সেই কাজ। আত্মঘাতী বিস্ফোরকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন টার্মোস। মৃত্যুদূতকে মটিতে ফেলে একা হাতে যুঝতে থাকেন দুই সন্তানের বাবা। তাতে নিঃসন্দেহে বেঁচে গেছে কয়েকশো প্রাণ। রুখে দেওয়া গেছে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ। তবে, মৃত্যুদূত ছেড়ে দেয়নি নিরীহ বাবাকে। ঝাঁঝরা শরীরটা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী। কিন্তু, তখন সব শেষ।
প্যারিসে আঘাত হানার ঠিক আগেই বেইরুটে হামলা চালায় ইসলামিক স্টেট। আত্মঘাতী বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ৩৭ জনের। গুরুতর আহত হন ২০০ জন। হতাহতের সংখ্যাটা আরও ভয়াবহ হতে দেননি আদেল টার্মোস। নিজের জীবন দিয়ে তিনি রক্ষা করেছেন অগুনতি প্রাণ। এই বাবার আত্মত্যাগে অনাথ হয়নি বহু কচিকাঁচা। কিন্তু, টার্মোসের সন্তানদের চোখ আজ খুঁজে বেরাচ্ছে তাদের বাবাকে। তারা হয়তো বুঝতেও পারছে না, বাবা আর ফিরবেন না।
এলি ফেয়ারস নামে একজন স্থানীয় ব্লগার পাবলিক রেডিয়ো ইন্টারন্যাশনালে তুলে ধরেছেন টার্মোসের কথা। তাঁর এই আত্মত্যাগে এলাকার মানুষ কৃতজ্ঞ। টালুসার রাস্তা দিয়ে বীর মর্যাদায় স্থানীয়রা শেষযাত্রায় সম্মান জানালেন টার্মোসকে।
প্যারিসে হামলার ঘটনায় যখন বিশ্বজুড়ে তত্পরতা শুরু হয়েছে, তখনই বেইরুটের এই ঘটনা অন্তরালে থেকে যাওয়ায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বৈষম্যের অভিযোগে ঝড় উঠেছে। লেবাননে গত ৩০ মাসে ১৮ টি সন্ত্রাস হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে, ISIS এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ঘটনার দায় স্বীকার করল।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: চোখের সামনে প্রথম বিস্ফোরণটি হতে দেখেন আদেল টার্মোস। আর দেখেন ISIS-এর দ্বিতীয় আত্মঘাতী বিস্ফোরক তৈরি হচ্ছে পরের আঘাতের জন্য। সেই মুহূর্তটায় স্ত্রী, ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে, পরিবার-পরিজন কারও কথা মাথায় আসেনি টার্মোসের। সেকেন্ডের ভগ্নাংশ পেরোতে না পেরোতেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। একবার শেষ চেষ্টা করবেন। তাতে যা হয় হোক।