পাঠানকোট হামলার তদন্ত নিয়ে এখনই বিস্তারিত মুখ খুলতে চাইছেন না NIA গোয়েন্দারা। তবে সংস্থার তদন্তকারী অফিসাররা জানাচ্ছেন, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ফোনের কল লগ খতিয়ে দেখে বোঝা যাচ্ছে, যে ৬ জন জঙ্গি পাঠানকোটে হামলা চালিয়েছিল, তাদের মধ্যে ৪ জন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছে। কিন্তু দু'জন এদেশেরই নাগরিক। মঙ্গলবারই পাঠানকোট হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন প্রাক্তন এসপি সলবিন্দর সিংয়ের লাই ডিটেক্টর টেস্ট হয়েছে। সলবিন্দরকে জেরা করেও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বলে খবর। তবে সেই তথ্যগুলির সঙ্গে পাঠানকোট হামলার যোগ রয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
NIA সূত্রের খবর, পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটির চত্বরে পাওয়া ৪টি একে৪৭ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেগুলি জঙ্গি সংগঠন জৈশ ই মহম্মদ-এর ব্যবহৃত। বাকি দুই জঙ্গি নৌসেনা ঘাঁটির বাসিন্দা নাকি স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটির আশপাশে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষের বসবাস। প্রত্যেকটি পরিবারের সদস্যদের আলাদা করে নজর রাখছেন গোয়েন্দারা।
NIA-র ডিরেক্টর জেনারেল শরদ কুমার 'ইকনমিক টাইমস'-কে বলেছেন, 'এখনও পর্যন্ত হামলায় ব্যবহৃত ৪টি অস্ত্র আমরা উদ্ধার করেছি। ফরেনসিক রিপোর্ট আসবে আগামী সপ্তাহে। তারপর আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।'
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অন্তর্ঘাত তত্ত্বের ইঙ্গিত মিলছিল প্রথম থেকেই। এবার তা আরও পরিষ্কার হয়ে গেল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)-র সন্দেহে। NIA-র চাঞ্চল্যকর দাবি, পাঠানকোট হামলায় ৬ জঙ্গির মধ্যে ২ জন ভারতেরই নাগরিক। গোয়েন্দাদের বক্তব্যে আরও একবার স্পষ্ট হল, পাঠানকোট হামলায় 'সর্ষের মধ্যেই ভূত' থাকার বিষয়টি।