তাঁর গুরগাঁওয়ের ঘোড়াশালে, মানে খামারবাড়িতে এখন একসঙ্গে ন'টা ঘোড়া। গত শনিবারই তিনি এই ন'টি ঘোড়াকে দত্তক নিয়েছেন। Friendicoes নামে একটি পশুকল্যাণ NGO সম্প্রতি এই বিপন্ন ঘোড়াগুলিকে উদ্ধার করে। ঠিকমতো এদের খেতেও দেওয়া হত না। অপুষ্টিতে, দুর্বলতায় মরতে বসেছিল।
এখন অবশ্য আর কোনও সমস্যা নেই এই ঘোড়াদেন। রণদীপের খামারে তাদের দু-বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। যে ভালোবাসা এতদিন পায়নি, এখন তা-ও পাচ্ছে। কিছুদিন পর রণদীপের এই ঘোড়াগুলিকে রেসের মাঠে প্রতিযোগিতায় নামতে দেখলে আশ্চর্য হবেন না।
'রুটিরুজির জন্য মানুষকে তো কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হলে, শ্রম তো করতেই হবে। ওরাও করবে। রেসের মাঠে দৌড়বে।' বলেন রণদীপ।
খবরের কাগজের রিপোর্ট পরেই আলিগড়ের এই 'উপোসি' ঘোড়াগুলোর কথা জানতে পরেছিলেন এই বলি-অভিনেতা। তার পরেই পশুকল্যাণের কাজে নিয়োজিত এনজিও-টির সঙ্গে যোগাযোগ করেন রণদীপ।
রণদীপের কথায়, ওই এনজিও-র কর্মীদের সঙ্গে আলিগড়ের সেই ফার্মহাউজে গিয়ে স্তম্ভিত হয়ে যাই। দেখি ঘোড়াগুলি দেওয়াল থেকে খসে পড়া প্লাস্টার, ইটের টুকরো খেয়ে পেট ভারাচ্ছে। দেখে বড্ড মায়া হয়। দত্তক নেব বলে ঠিক করি।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বিলাসী শখে ঘোড়া পোষেন সম্পন্নরা। বলিউড অভিনেতা রণদীপ হুডাও পুষছেন। কিন্তু, শখে নয়, বিলাসেও নয়। রণদীপের ঘোড়া পোষা 'বিপন্ন'কে নবজন্ম দিতে।