বিশ্বের বৃহত্তম ওয়াইন এক্সপোর্টার হিসেবে চার নম্বরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব অঞ্চলে ওয়াইন তৈরি হয়, সেখানকার তাপমাত্রায় ভালো রকম পরিবর্তন দেখা গিয়েছে।
ক্রমেই বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা কিংবা দেখা দিচ্ছে অকাল বর্ষণ। সিডনির উত্তরে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হান্টার ভ্যালির অন্যতম বৃহত্ ওয়াইন প্রস্তুতকারক সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান ভিন্টেজ লিমিটেড-এর চিফ এগজিকিউটিভ নিল ম্যাকগুইগান জানিয়েছেন, ' সাম্প্রতিক সময়ের সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে এই অঞ্চলে, প্রায় ২০০ মিলিমিটার। এভাবে চলতে থাকলে গাছের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়বে এবং ফল বাঁচানো কোনওভাবেই সম্ভব হবে না। ' আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী জানুয়ারি মাসে সাধারণত যে পরিমাণে বৃষ্টি অন্যান্য বছরে হয়, তার থেকে এবার দ্বিগুণ বৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় মাত্রাতিরিক্ত তাপের কারণে আগুন লেগে যাচ্ছে গাছে, যা বুশ ফায়ার নামেই পরিচিত। এই আগুনে পুড়েই ওয়ারুনায় নষ্ট হয়ে গেছে বার্নি ওয়র্থিংটনের ভিনিয়ার্ড। যদি আগুনে পুড়ে নষ্ট নাও হয়, কাছাকাছি কোথাও আগুন লাগলেও তার প্রভাব এসে পড়ে আসপাশের ভিনিয়ার্ডে। তখন ওয়াইনের স্বাদ পুরো অ্যাশট্রের মতো লাগে।
২০১৫-২০১৬ সালে যে হারে অস্ট্রেলিয়ার তাপমাত্র বেড়েছে, তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কমনওয়েলথ সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে ০.৩ থেকে ১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে অস্ট্রেলিয়ায়।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বদলে যাওয়া আবহাওয়ার জন্যে প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ওয়াইন ইন্ডাস্ট্রিকে। একদিকে প্রবল বৃষ্টিতে পচে যাচ্ছে ফসল অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমে বুশফায়ারের জন্যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েক শো একর চাষ জমি। ফলে মাথায় হাত পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রাচীন সব ওয়াইন প্রস্তুতকারকদের। বিরূপ প্রভাব পড়েছে ওয়াইন রপ্তানিতেও।