'শিল্পী কোনও দেশ হয় না। শিল্পীর ঠিকানা বিশ্বজুড়ে।' পাকিস্তানের বিশ্বখ্যাত গজলশিল্পী গুলাম আলির অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে ভাষণ দিতে উঠে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঙালি মননের গভীরে ঠাঁই পাওয়া চির সহিষ্ণুতার বার্তা চারিয়ে দিতেই শহরে গজলশিল্পীর অনুষ্ঠানের আয়োজন, সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। শিবসেনার তীব্র বাধার জেরে মুম্বইয়ে গুলাম আলির অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ার পর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে স্পষ্টতই তৃপ্ত মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতার শ্রোতাদের সামনে সঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ পেয়ে আনন্দিত গজলসম্রাট নিজেও। রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী সংবর্ধনা দেওয়ার পর উচ্ছ্বসিত শিল্পী জানালেন, 'মন খারাপের দিন শেষ। কলকাতায় এসে আমি খুশি। এই শহরে সঙ্গীত পরিবেশনের সুযোগ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ।'
মমতার আগাম ঘোষণা এবং তারপর সরকারি বিজ্ঞপ্তির জেরে মঙ্গলবারের সন্ধ্যা ঘিরে প্রবল উদ্দীপনায় ফুটছিলেন কলকাতাবাসী। সঞ্চালক রাজা মুরাদ গোড়াতেই চোস্ত উর্দু শায়রি মারফত্ অনুষ্ঠানের মূল সুরটি বেঁধে দেন। এরপর মঞ্চে উঠে গোড়া থেকেই স্ব-মেজাজে ছিলেন গুলাম আলি। তাঁর অনবদ্য গায়কীতে পরিবেশিত একের পর এক অবিস্মরণীয় গজলের কথা ও সুরের ঠাসবুনোটে আপ্লুত হন তামাম শ্রোতা। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন গুলাম আলির ছেলে সহ্গীতশিল্পী আমির আলি।
এদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন বলিউড পরিচালক মহেশ ভাট, অভিনেতা রাজা মুরাদ, সঙ্গীতশিল্পী রশিদ খান, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একই গাড়িতে পৌঁছন তৃণমূলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: জানুয়ারির শীতসন্ধ্যায় সঙ্গীত-সৌরভে আমোদিত হল মহানগর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের মঞ্চ মাতালেন গজল সম্রাট গুলাম আলি।