Quantcast
Channel: Bengali News, বাংলা নিউজ, বাংলায় সর্বশেষ খবর, Live Bengali News, Bangla News, Ajker Bengali Khabar - Eisamay
Viewing all articles
Browse latest Browse all 87249

পুলিশ সুপারকে হেফাজতেও নিতে পারে এনআইএ

$
0
0

চণ্ডীগড়: তাঁকে নিয়ে প্রথম দিন থেকেই রহস্য দানা বেঁধেছে৷ ফলে এনআইএ তাঁকে জেরা করেছে৷ তাতেও তারা সন্ত্তষ্ট হয়নি৷ সম্ভবত এ বার হেফাজতেই নেওয়া হবে 'জঙ্গিদের হাত থেকে বেঁচে ফেরা এসপি-কে৷' অবস্থা যখন এতটাই কঠিন, তখন তাঁর প্রশ্ন, 'আমি বেঁচে আছি, সেটাই কি আমার অপরাধ?' তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতির অভিযোগ ওঠার পর এই প্রশ্নই করলেন গুরদাসপুরের পুলিশ সুপার সালবিন্দর সিং৷

পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গিহানার পরই প্রকাশ্যে আসে, ৩১ ডিসেম্বরের রাতে সালবিন্দরের গাড়ি ছিনতাই করেছিল জঙ্গিরা৷ কোনও রকমে তাদের কবল থেকে পালানোর পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জঙ্গিদের কথাও জানিয়েওছিলেন সালবিন্দর৷ কিন্ত্ত এখন তদন্তকারীরা অভিযোগ তুলছেন, সালবিন্দরের বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি ছিল, আর তাই তাঁর কথায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷

এ দিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাত্‍কারে সালবিন্দর জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বরের রাতে সাদা পোশাকে অন্য দু'জনকে নিয়ে পাক সীমান্ত লাগোয়া একটি মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি৷ তাঁর পুলিশের গাড়িটি সঙ্গে ছিল, তবে সেটির লালবাতি জ্বালাননি তিনি৷ সেখানেই বেশ কয়েক জন জঙ্গি তাঁর গাড়ি ছিনতাই করে নেয় বলে অভিযোগ৷ সালবিন্দরের কথায়, 'ওদের কাছে একে-৪৭ ছিল৷ পাঞ্জাবি, হিন্দি আর ঊর্দু মিশিয়ে কথাবার্তা বলছিল৷' অন্য এক ট্যাক্সিচালককে মেরে জঙ্গিরা তাঁর গাড়ি ছিনতাই করে নিয়েছিল একই দিনে৷ সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে সালবিন্দর ও তাঁর সঙ্গীরা অক্ষত অবস্থায় বেঁচে ফিরলেন কী করে?

সালবিন্দরের দাবি, তাঁর গাড়ি ছিনতাই করার পর তাঁর হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে দেওয়া হয়৷ গাড়ির মধ্যে অন্ধকারে তিনি বুঝে উঠতে পারেননি, ঠিক কতজন জঙ্গি ছিল৷ তিনি বলেন, 'ওরা বুঝতেই পারেনি, আমি একজন পুলিশ অফিসার৷ পরে যখন ওরা আমার পরিচয় জানতে পারে, ওরা আমাকে মারার জন্য ফিরে এসেছিল৷ আমাকে হুমকি দিয়েছিল, কাউকে সতর্ক করার চেষ্টা করলে আমাকে অনেক বড় মূল্য চোকাতে হবে৷ আমি যা বলেছি, তাতে কোনও ধোঁয়াশা নেই৷ আমি বেঁচে আছি, সেটাই কি আমার অপরাধ? আমি যদি কোনও ভুল করে থাকি, তবে আমাকে ফাঁসি দেওয়া হোক৷ আমি ধর্মভীরু মানুষ৷'

কিন্ত্ত, সালবিন্দরের আসল পরিচয় জঙ্গিরা জানল কী করে?

সালবিন্দরের দাবি, তাঁর তিনটে সেলফোনের মধ্যে দু'টো জঙ্গিরা ছিনতাই করে পালিয়েছিল৷ যখন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ওই নম্বরে ফোন করেন, তখন জঙ্গিরাই সেই ফোন ধরে 'সালাম আলিকুম' বলেছিল৷ সালবিন্দরের দাবি, নিরাপত্তারক্ষীদের ফোন পেয়েই জঙ্গিরা বুঝেছিল, তিনি পুলিশ৷ পরে, একটি চেকপোস্টে গিয়ে তারা জানতে পারে, যে গাড়িতে তারা ঘুরছে, সেটা আসলে পুলিশের গাড়ি৷ সালবিন্দরের দাবি, জঙ্গিদের কবল থেকে কোনও রকমে পালাতে পেরেই নিকটবর্তী একটি গ্রামে আশ্রয় নেন তিনি৷ নিজের তৃতীয় ফোন থেকে শুক্রবার ভোরের দিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ফোনও করেন তিনি৷ সলবিন্দরের এই অভিযোগ সত্ত্বেও কোনও তত্‍পরতা দেখানো হয়নি৷ স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মহর্ষি জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরে খবর পাওয়ার পরও সেদিন সন্ধে পর্যন্ত জঙ্গিদের অবস্থান শুধু পাঠানকোট বলেই চিহ্নিত করা গিয়েছিল৷ তার প্রায় ১২ ঘণ্টা আগে পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে ৫০০ মিটার দূরে সলবিন্দরের গাড়ি উদ্ধার হয়৷ তবে, জঙ্গিরা কোন পথে ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে৷ - সংবাদসংস্থা


Viewing all articles
Browse latest Browse all 87249

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>