সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কর্নেল কুলদীপ সিং গর্চার ছেলে সতীন্দর৷ কুলদীপও পোলো খেলতেন৷ ভারতীয় টিমের হয়ে খেলেছেন৷ ক্যাপ্টেন এবং কোচও ছিলেন দীর্ঘ দিন৷ বাবার কাছ থেকেই পোলোর প্রতি ভালোবাসা৷ রাজস্থানে জয়পুরের ঠিক বাইরে তাঁদের রাইডিং ও পোলো ক্লাব আছে৷
সতীন্দর খেলাটা খেলতে শুরু করেছিলেন অনেক বেশি বয়সেই৷ যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা শেষ করে, কিছু দিন ব্যবসা করে অর্থ জমিয়ে ছিলেন৷ তারপর পেশাদার ভাবে প্রথমে ইংল্যান্ডে পোলো খেলতে শুরু করেন৷ কিন্ত্ত অল্প দিন পরই চলে যান আর্জেন্তিনায়৷ তখন তাঁর বয়স ৩১৷ বছরে দু'-তিন মাস খেলার সুযোগ পান সেখানে৷
১৩ বছর হয়ে গেল আর্জেন্তিনার বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলছেন৷ গর্চার কথায়, 'সাম্প্রতিক কালে আমি কোপা প্রেসিদেন্তে জিতেছি৷ যেটা আর্জেন্তিনার সবচেয়ে বড় টোয়েন্টি গোল টুর্নামেন্ট৷ ৬০-৭০টা টিম খেলে এই টুর্নামেন্টে৷' তাঁর আরও সংযোজন, 'এই নকআউট টুর্নামেন্ট জিততে আমাদের টানা ছ-সাতটা ম্যাচ জিততে হয়েছে৷ তার মানে আমি সঠিক জায়গাতেই আছি৷'
আর্জেন্তিনার অন্যতম সেরা এবং অভিজ্ঞ তারকা প্লেয়ার রদ্রিগো আন্দ্রাদের সঙ্গে এক টিমে তাঁরা খেলেছেন এয়েরস্তিনা গোল্ড কাপে৷ সেই খেলার অভিজ্ঞতা থেকে গর্চার বক্তব্য, 'ওঁর পাশে খেলতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি৷ শুধু বল নিয়ে নয়, বল ছাড়া কী ভাবে আরও ভালো খেলা যায়, সেটাও শিখেছি৷ ওঁকেই সবচেয়ে বেশি সম্মান করি৷ যদিও আরও অনেক ভালো প্লেয়ার আছে৷'
পোলোর বাইরে গর্চার পরিচিতি হোটেল ব্যবসায়ী হিসেবে৷ হেরিটেজ সম্পত্তি কেনেন, আর সেই হেরিটেজ পরিবেশেই হোটেল তৈরি করেন৷ আর সে গুলো যথেষ্ট বিলাসবহুল৷ সিঙ্গাপুর ও সান্তিয়াগোতে গর্চা হোটেলস নামে চলে তার ব্যবসা৷ এই জানুয়ারিতেই সিঙ্গাপুরে তাঁর নতুন একটি হোটেল খুলতে চলেছে, যার নাম 'ভ্যাগাবন্ড'৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হোটেলের ব্যবসার ফাঁকেই দু'-তিন মাস সময় বের করেন আর্জেন্তিনায় খেলার জন্য৷
মেসির দেশে সেরা প্লেয়ারদের মধ্যে খেলেও নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন গর্চা৷
এই সময়: আর্জেন্তিনা এখন মাতাচ্ছেন এক ভারতীয় প্লেয়ার৷ তবে ফুটবল নয়, পোলোতে৷ আর্জেন্তিনায় পোলো অসম্ভব জনপ্রিয় এবং এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা পোলো তারকাদের বেশিরভাগ আর্জেন্তিনীয়৷ সেই দেশেই নিজের জায়গা তৈরি করে ফেলেছেন ৪৪ বছরের সতীন্দর গর্চা৷ যিনি এক দিকে বিশিষ্ট শিল্পপতি, অন্য দিকে আর্জেন্তিনার খেলায় মাতাচ্ছেন৷