পশ্চিমবঙ্গের মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে প্রায় সবকটিতেই প্রার্থী দেবে বলে ঠিক করেছে বিজেপি। দলের মুখ্য ম্যাসকট মোদীকে বাদ দিয়ে বিজেপির কোনও নির্বাচনী প্রচারই সম্পূর্ণ হয় না। তাই এ রাজ্যের ভোট-প্রচারেও মোদী অবশ্যই আসবেন। তবে একটু বুঝে-সুঝে। নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে ওঠার পরই মোদীকে নিয়ে আসা হবে। তাঁর সঙ্গে আসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তবে এ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপির খুব একটা ভালো ফল করার আশা যে নেই, তা মানছে দলীয় নেতৃত্ব। গত লোকসভা ভোটে মোদী হাওয়ায় ভর করে এ রাজ্যে বিজেপির ভোট ৬% থেকে ১৭% পৌঁছেছিল। সেই রেকর্ড এবারে ভাঙার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনী প্রচারে যে সব বিষয়ে বিজেপি জোর দেবে, তা হল - সারদা ও চিট ফান্ড ইস্যু খুঁচিয়ে তুলে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ, সম্প্রতি রাজ্যের জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়া, মহিলাদের নিরাপত্তা এবং রাজ্যের অনুন্নয়ন। এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো স্থানীয় কোনও নেতাই নেই বিজেপির। এ বিষয়কে মেনে নিয়ে সার্বিক দলীয় নেতৃত্বেই জোর দেবে গেরুয়া পার্টি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বাম জমানার ৩৪ বছরের অপশাসনকেই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন, প্রচারে সেই অভিযোগ তুলবে বিজেপি। পাশাপাশি, ২৩ জানুয়ারি নেতাজির ফাইল প্রকাশ করেও বাঙালি সেন্টিমেন্ট নিজেদের দিকে টানতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব।
এই সময় ডিডিটাল ডেস্ক: বিহার-বিপর্যয়ের শিক্ষা। পশ্চিমবঙ্গের ভোট-প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অতিরিক্ত ব্যবহার করবে না বিজেপি। বিহারে লালু-নীতীশ মহাজোটের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ার পর আঙুল উঠেছিল সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দিকেই। নির্বাচনী সভা করতে মোদী প্রায় গোটা বিহার চষে ফেললেও, কাজের কাজ যে কিছুই হয়নি তা ফলাফলেই স্পষ্ট। মোদী-ম্যাজিক ফিকে হয়ে গিয়েছে বলে তির্যক মন্তব্য এসেছিল বিরোধীদের কাছ থেকে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রচারে মোদীকে ব্যবহার করা নিয়ে একটু ডিফেন্সেই খেলতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব।