আলিপুর আবহাওয়া দন্তরের আবহবিদ গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলেন, 'মঙ্গল ও বুধবার সমুদ্রের দিক থেকে স্থলভাগের দিকে হাওয়া বইতে পারে৷ তাতে আবার মেঘ ঢুকবে৷ তবে এই মেঘ বেশি দিন স্থায়ী হবে না৷ শীতের পরিস্থিতিও তাতে যাবে না৷ অবশ্য পারাপতন থমকে যাবে৷ তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তেও পারে৷' পারার সেই ঊর্ধ্বগতি বড়দিনে কোথায় থাকবে, তার উপরই নির্ভর করবে উত্সবের শীতের পরশ৷ এক আবহবিদ যেমন বললেন, 'ডিসেম্বরের শুরুতে শীত রীতিমতো ফাঁকি দিয়েছে৷ বড়দিনে আশা করা যাচ্ছে শীতের আমেজ থাকবে৷ অন্তত রবিবার যেমনটা ছিল৷' এ দিন আলিপুরের পারা নামে ১৩.০ ডিগ্রিতে৷ স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি কম৷ আজ, সোমবারও তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির আশপাশে থাকবে৷ মঙ্গল ও বুধবার তাপমাত্রা খানিকটা বাড়বে৷শনিবার থেকে মেঘ কাটতে শুরু করায় জেলায় কড়া শীত পড়তে শুরু করেছে৷ নদিয়া কৃষ্ণনগরে পারা নামে ৮.২ ডিগ্রিতে, বীরভূমের শ্রীনিকেতনে ৯.১ ডিগ্রি, আসানসোলে ১০.২ ডিগ্রি, বাঁকুড়ায় ১১.৩ ডিগ্রি৷ শ্রীনিকেতন, কৃষ্ণনগরে তাপমাত্রা রয়েছে স্বাভাবিকের চার ডিগ্রি নীচে৷ আরও এক ডিগ্রি নীচে নামলে শৈত্যপ্রবাহ ঘোষণা করতে পারত আবহাওয়া দন্তর৷ কিন্ত্ত আপাতত সে সম্ভাবনা নেই৷
এই সময়: তাপমাত্রা কমার ধারাতেও চিন্তা যাচ্ছে না শীতপ্রেমীদের৷ রবিবার মরসুমের শীতলতম দিন পেয়েছে কলকাতা৷ জেলার বেশ কয়েকটি অংশ শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি৷ কিন্ত্ত শীত যে কড়া থাকবে, তার কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না আবহবিদরা৷ তাই জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা নেই৷ নেই কলকাতার তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামার ইঙ্গিতও৷ সামনেই বড়দিন, সে দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে উত্সুক আমজনতা৷ যে ভাবে মেঘ এসে বারবার আধ-বর্ষার আবহে ফিরিয়ে দিচ্ছে পৌষের শহরকে, তাতে চিন্তা বাড়াই স্বাভাবিক৷ আবহবিদরাও বলছেন, মেঘের আনাগোনার উপরই নির্ভর করবে বড়দিনের শীত-ভাগ্য৷কারণ, বড়দিনের প্রাক্-মুহূর্তে মেঘের হানার দেওয়ার পরিস্থিতি আবার তৈরি হচ্ছে৷