সর্বাণী অবশ্য এ দিনও বলেন, সরকারি নির্দেশের কোনও কপি তাঁর হাতে পৌঁছয়নি৷ তিনি জানান, 'সরকারি চিঠি হাতে এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবব৷' যদিও সরকারের একটি অংশের বক্তব্য, পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ মামলায় রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি হিসাবে সর্বাণীর দায়িত্ব শেষ হয়ে গিয়েছে৷ ফলে তাঁকে আলাদা মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না৷ সর্বাণী এ দিনও বলেন, 'আমি কোনও ভাবেই আইন লঙ্ঘন করিনি৷' তাঁর ব্যাখ্যা, বিচারক যখন সাজার ব্যাপারে মতামত চান আমি আইনের বিধান তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি মাত্র৷ তবে জনসমক্ষে তিনি এর কোনও ব্যাখ্যা দেবেন না বলে সর্বাণী এদিন জানান৷ তিনি বলেন, 'আমি ব্যাখ্যা দিতে পারতাম৷ কিন্ত্ত আমার বক্তব্য উচ্চ আদালতে হাতিয়ার করতে পারে অভিযুক্তরা৷'
চন্দ্রিমা এ দিন জানান, কল্যাণ তহবিলে নাম নথিভূক্ত করা আইনজীবীরা অবসর নেওয়ার পর এককালীন অর্থ সাহায্য পাবেন। যে সমস্ত আইনজীবী ৫ বছর বা তার কম সময়ে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তাদের পঞ্চাশ টাকা দিয়ে নাম নথিভূক্ত করতে হবে।বছরে একই পরিমাণ চাঁদাও তাদের দিতে হবে।পনেরো বছর র্পযন্ত এই পেশার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের কাছে নাম নথিভূক্ত করার জন্য নেওয়া হবে একশ টাকা। বছরে তাঁদের একই পরিমাণ চাঁদা দিতে হবে।তারও বেশিদিন এই পেশার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের নাম নথিভূক্ত করার জন্য ২০০ টাকা এবং বছরে একশ টাকা চাঁদা দিতে হবে।এরফলে আইনজীবীরা অবসর নিতে চাইলে বাবা মারা গেলে তার পরিবার এই কল্যাণ তহবিল থেকে এককালীন আর্থিক সাহায্য পাবে।
এই সময়: পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ মামলায় দোষীদের কম সাজা চাওয়ায় বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি সর্বাণী রায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ সরকারের অন্যান্য মামলাতেও তিনি আর বিশেষ কৌঁসুলি হয়ে কাজ করবেন না৷ রাজ্যের আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মঙ্গলবার বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ আইনজীবী কল্যাণ তহবিল সংশোধনী বিলের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এই খবর জানিয়ে দেন৷ তিনি বলেন, গত ১২ ডিসেম্বরই এর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার৷ তাঁর সাফ কথা, সরকার কোনও ভাবেই এই সরকারি কৌঁসুলিকে তিন দোষী সাব্যস্তর সাজা লঘু করার জন্য আবেদন জানাতে বলেনি৷ আইনজীবীরা মক্কেলের কথা শুনে মামলা করেন৷ সেইমতো বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে আদালতে দোষীদের শাস্তি কমানোর কথা বলতে পারেন না৷