গত সেপ্টেম্বর মাসে মিলেছিল পূর্বাভাস। এবার বিকল্প শক্তি উত্পাদনের কাজে হাত দিতে চলেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে চলেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, বিমান ওঠানামা থেকে শুরু করে যাত্রী পরিষেবা, বিভিন্ন কাজে বিমানবন্দরের নিত্য ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। সোলার প্যানেল বসানোর জন্য বিমানবন্দরের ৫৫ একর জমি ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ জন্য ১৩০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট অথরিটি-র চেয়ারম্যান আর কে শ্রীবাস্তব।
প্রস্তাবিত সৌর প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মিলপাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বিমানবন্দরের প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশি। বিমানবন্দরের পরিকাঠামোয় বেশ কিছু পরিবর্তনের কথা ভাবা হয়েছে। নতুন ও পুরনো টার্মিনালের দু'টি এরোব্রিজ সংযুক্ত করার পরিকল্পনাও হয়েছে। বিমানবন্দরে নতুন একটি টাওয়ারের জন্য বিকল্প জমির সন্ধান করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন শ্রীবাস্তব।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সৌরশক্তি ব্যবহার শুরু করেছে কোচিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানে বিমানবন্দর এলাকার মধ্যে চালু হয়েছে ১২ মেগাওয়াটের সৌরশক্তি প্রকল্প। কোচিন বিমানবন্দরের জন্য প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ হাজার ইউনিট বিদ্যুত্ উত্পাদন হচ্ছে।
সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে একদিকে যেমন রাজ্যের মুখাপেক্ষী হওয়ার প্রয়োজন পড়বে না, পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণের কাজেও সহায়তা হবে বলে মনে করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। আর কিছু দিনের মধ্যেই সৌরশক্তির আলোয় ঝলমল করে উঠবে কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। প্রকল্পের সাহায্যে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ হাজার ইউনিট বিদ্যুত্ উত্পাদন হবে।