এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুই সেলফি দিয়ে। পিছনে কয়েকশো ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে সুন্দর পিচাইয়ের সঙ্গে ৩৬০ ডিগ্রিতে সেলফি তুললেন হর্ষ ভোগলে। গুগল-এর সিইও প্রথম বিদেশ সফরেই জন্মস্থান ভারতে এসেছেন সুন্দর। প্রথমেই এক ছাত্র তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, গুগল-এর কর্ণধার ল্যারি পেজ ও সার্গেই ব্রিনের সঙ্গে মতের অমিল হয়? পিচাই জানান, গুগল নিয়ে ল্যারি বা সার্গেই যতটা ভাবেন, তিনিও ঠিক ততটাই চিন্তা করেন। মতের অমিল হলেও, কোনও সমস্যার সমাধানে তিনিও সমান ভাবে মত প্রকাশ করেন।
এক ছাত্রী পিচাইকে প্রশ্ন করেন, অ্যান্ড্রয়েডের প্রত্যেকটা ভার্সানের নাম পশ্চিমি ডেসার্টের নামে। কেন কোনও ভারতীয় ডেসার্ট-এর নামে করা হয় না? এক মুহূর্তও না-ভেবে পিচাইয়ের মজার উত্তর, 'পরবর্তী ভার্সানের নাম ভাবছি অনলাইনে ভোটের মাধ্যমে ঠিক করব।'
এক ছাত্র প্রশ্ন করেন, আপনার ক'টি স্মার্টফোন রয়েছে? পিচাই বলেন, 'আমি প্রথম মোবাইল ফোনটা কিনেছিলাম ১৯৯৫ সালে। ২০০৬-এ প্রথম স্মার্টফোন কিনি। এখন ২০-৩০টা স্মার্টফোন আছে।'
ছাত্র-ছাত্রীদের সুন্দর পিচাই-এর পরামর্শ, 'হৃদয় যা বলবে, সেটাই করুন। যে কাজ করতে আপনার ভালো লাগে, সেই কাজই করুন। উন্নতি হবেই।'
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: একজন সিইও হিসেবে ভারতে গুগল-এর একগুচ্ছ পরিকল্পনার ঘোষণা বুধবারই করেছেন। বৃহস্পতিবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা সুন্দর পিচাইকে পেলেন একেবারে অন্য মেজাজে। হাসি, ইয়ার্কি, মজা এবং অবশ্যই বুদ্ধিদীপ্ত কিছু উত্তর। শ্রীরাম কলেজ অফ কমার্স-এ ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে জমিয়ে আড্ডা দিলেন পিচাই। বললেন, 'গুগল-এর সিইও না-হলে সফটওয়্যার তৈরি করতাম।'