Quantcast
Channel: Bengali News, বাংলা নিউজ, বাংলায় সর্বশেষ খবর, Live Bengali News, Bangla News, Ajker Bengali Khabar - Eisamay
Viewing all articles
Browse latest Browse all 87249

বিমানবন্দর সম্প্রসারণে নদীর গতিপথ বদলের প্রস্তাব কেন্দ্রের

$
0
0

Sugata.Banerjee@timesgroup.com

কোচবিহার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণে রাজ্যকে নদীপথই বদলে দেওয়ার প্রস্তাব দিল কেন্দ্র৷ অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী পি অশোক গজপতি রাজু কলকাতায় এসে এই অচল বিমানবন্দরকে সচল করতে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন৷ তার পরও উত্তরবঙ্গের এই বিমানবন্দরকে ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের উড়ান এখন বিশ বাঁও জলে৷ কেন? এই বিমানবন্দরের পাশ দিয়ে গিয়েছে তোর্সা নদীর একটি মজে যাওয়া শাখা, 'মরা তোর্সা' নামেই যার স্থানীয় পরিচিতি৷ প্রায় ২০০ মিটার চওড়া সেই নদীই নাকি এই বিমানবন্দর সম্প্রসারণের পথে প্রধান অন্তরায়৷ কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের কর্তাদের কথায়, এখন এই বিমানবন্দরে ৪২ আসনের বিমান ওঠানামায় বিশেষ সমস্যা নেই৷ কিন্তু বাণিজ্যিক স্বার্থে বড় বিমান ওঠানামা করা জরুরি৷ তাই কোচবিহার বিমানবন্দর চালু করতে হলে প্রথমেই রানওয়ে সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে৷ এ জন্য রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৪২৮ মিটার বাড়িয়ে ১২৪৯ মিটার করা দরকার৷ যা নির্মাণে প্রধান অন্তরায় মরা তোর্সার্‌৷

রাজ্য সরকার এই নদীর উপর কালভার্ট মডেলের ব্রিজ তৈরি করে রানওয়ে সম্প্রসারণের প্রস্তাব দিয়েছিল সম্প্রতি৷ এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে নকশা তৈরি করে৷ দেখা যায়, রানওয়ের জন্য এই কালভার্ট তৈরির খরচ পড়বে ১৫০ কোটি টাকা৷ কিন্তু একদিকে কালভার্ট তৈরি হলে যেমন নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, তেমনই ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এরও আপত্তি রয়েছে এই কালভার্ট কেন্দ্রিক রানওয়ে নিয়ে৷

আপত্তি কেন?

বলা হচ্ছে, কালভার্টের নীচে লুকিয়ে থেকে নাশকতার সুযোগ থাকবে৷ এছাড়াও, এই নির্মাণের ফলে নদীর পারে আচমকা ভাঙনও দেখা দিতে পারে৷ সারা দেশে এমন ৩২টি বিমানবন্দর রয়েছে, যেখানে কোনও বিমান ওঠানামা করে না৷ এই তালিকাতেই রয়েছে কোচবিহার বিমানবন্দরের নাম৷ এই অচল বিমানবন্দরকে সচল করতে কেন্দ্রীয় সরকার সব রকম উদ্যোগ নিচ্ছে বলে সেপ্টেম্বরে রাজ্যে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী৷ মাস পেরোতেই এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই) রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়, মরা তোর্সার উপর কালভার্ট তৈরি করা সম্ভব নয়, বরং নদীর গতিপথ বদলে দেওয়া হোক৷ এবং সে কাজটা করতে হবে রাজ্য সেচ দপ্তরকেই৷ বিষয়টি নিয়ে অক্টোবরের মাঝামাঝি সল্টলেকের জলসম্পদ ভবনে সেচ দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে একদফা বৈঠকও করেছে এএআই৷ কিন্তু সেচ দপ্তর এখনও সুস্পষ্ট মতামত জানায়নি৷

এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক অধিকর্তা শুদ্ধসত্ত্ব ভাদুড়ি জানান, প্রথমে ঠিক ছিল, নদীর ওপর দিয়ে কালভার্ট মডেলের ব্রিজ করে দেওয়ার জন্য ১৫০ কোটি টাকা রাজ্য সরকার দেবে৷ এএআই-এর পক্ষে এই টাকা দেওয়া সম্ভব নয়, এ কথা প্রথম থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ এ জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে দু'বার মাটি পরীক্ষাও করানো হয়৷ কিন্তু রাজ্য সেরকার এই বিপুল পরিমাণ টাকা দিতে পারবে না৷ বিকল্প হিসেবে নদীর গতিপথটা কিছুটা বদলে দিলে রানওয়ে সম্প্রসারণে কোনও প্রতিবন্ধকতা থাকবে না৷ খরচও কমবে৷

তবে এই কাজটাও সহজ নয়৷ ভাদুড়ির কথায়, নদীপথ বদলের আগে সমীক্ষা করে দেখতে হবে এর বৈজ্ঞানিক যৌক্তিকতা৷ এটা করলে নদী ভাঙনের প্রবণতা কতটা বাড়বে? পাশাপাশি, নদী প্রবাহের উপরের অংশে অর্থাত্‍ আপ স্ট্রিমে অতিবৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির জন্য বিমানবন্দরটি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ সেচ দপ্তরের কাছে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট মতামত চাওয়া হয়েছে৷


Viewing all articles
Browse latest Browse all 87249

Trending Articles



<script src="https://jsc.adskeeper.com/r/s/rssing.com.1596347.js" async> </script>