এই স্পেশাল পিপি-কে যে অপসারণ করা হতে পারে, সে ইঙ্গিত শুক্রবারই দিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সর্বাণী রায়ের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে গতকালই মন্ত্রী বলেছিলেন, 'ওঁর আচরণ সরকারের অভিপ্রায়ের একেবারেই বিপরীত৷ আমরা অবিলম্বে ওঁকে সরকারি আইনজীবীর তালিকা থেকে সরিয়ে দেব।' কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে সরিয়েও দেওয়া হল।
এদিন একটি বেসরকারি চ্যানেলকে ফোনে দেওয়া সাক্ষাত্কারে চন্দ্রিমা বলেন, আমরা দোষীদের সর্বোচ্চ সাজাই চেয়েছিলাম। সরকারি কৌঁসুলির উচিত ছিল, দোষীদের যাবজ্জীবন শাস্তির জন্য আবেদন জানানো। কিন্তু, উনি তা না-করে, ন্যূনতম সাজার আর্জি জানালেন কেন, তা এখনও অস্পষ্ট। যে কারণে সরকারি প্যানেল থেকে এই আইনজীবীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ সর্বাণী রায়ের প্রতিক্রিয়া, আমাকে যে অপসারণ করা হয়েছে, আমি নিজে তা জানি না। আমাকে সরকারি ভাবে জানানোও হয়নি। অথচ, সরকারি প্রতিনিধি মিডিয়ার সামনে আমাকে অপসারণের কথা বলছেন।
তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের আইনজীবী প্যানেলের কোনও পদেই আমি থাকতে চাই না। এই মামলায় স্পেশাল পিপি হিসেবে আমাকে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। তাই আমাকে সরানোর এক্তিয়ার রাজ্য সরকারের নেই। তাই তিনি এই অপসারণ মানবেন না বলেই জানিয়েছেন।
কেন ন্যূনতম সাজার আর্জি জানিয়েছেন, তা নিয়ে নিজের বক্তব্যে এদিনও অটল ছিলেন সর্বাণী রায়।'দোষী সাব্যস্ত তিন জনের কেউ মূল অভিযুক্ত নয়৷ ফেরার মূল অভিযুক্তের সঙ্গে থাকলেও সরাসরি ধর্ষণে তারা যুক্ত নয়৷ মানবিক কারণেই তাই ন্যূনতম সাজার কথা বলেছি৷'
প্রসঙ্গত, পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডে সুমিত বাজাজ, রুমন খান ও নাসের খানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেইসঙ্গে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা৷ অনাদায়ে আরও ছ-মাস জেল।
এদিকে, পার্ক স্ট্রিটের ধর্ষিতা সুজেট জর্ডনের পরিবার এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রায়ে যে তারা খুশি নয়, তা আগেই জানিয়েছে পরিবারটি। নিম্ন আদালতের রায়ের কপি হাতে পেলেই, তারা হাইকোর্টে যাবে।
এই সময় ডিজাটাল ডেস্ক: পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের ন্যূনতম শাস্তির পক্ষে সওয়াল করে, রাজ্য সরকারের কোপে পড়লেন স্পেশাল সরকারি কৌঁসুলি সর্বাণী রায়। সরকারের প্যানেল ভুক্ত আইনজীবীর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হল তাঁকে।