অন্যান্য দিনের মতোই বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ১৪ বছরের মেয়েটি। বাড়ির কাছেই রাস্তায় প্রতিবেশী রাহুল (১৯) তাকে নিজের গাড়িতে করে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় গাড়ি থেকে আরও পাঁচজন নেমে এসে তাকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তোলে। সেই সময় শীতের সকালে রাস্তায় আশেপাশে কেউ না থাকায় বিষয়টি নজর এড়িয়ে যায়।
প্রায় এক ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে শুনশান জায়গা দেখে গাড়ি থামায় তারা। সকাল ৮-৩০টা থেকে ১১-৩০টা পর্যন্ত ছয় মিলে দফায় দফায় ধর্ষণ করে ছোট মেয়েটিকে। কেউ আসছে কিনা, দেখার জন্য দু-জন করে গাড়ির বাইরে পাহারা দেয়। রাহুল ছাড়া অন্য ধর্ষকরা হল - সুরজ (১৯), সন্দীপ (২১), রমেশ (২৭), নরেন্দ্র ওরফে চঞ্চল (২০) এবং আমন (২৩)। যে টাটাসুমোয় এই ঘটনা ঘটে, সেটি একটি বেসরকারি এজেন্সির কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া। গাড়িটি সন্দীপ চালাচ্ছিল।
বেলা ১২টা নাগাদ এক পথচারী গাড়ি থেকে মেয়েটির চিত্কার শুনতে পান। গোলমাল আঁচ করে তখনই কিছু দূরে ট্র্যাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা এএসআই ওম প্রকাশকে বিষয়টি জানান তিনি। ওই পুলিশ অফিসার মুকুন্দ পুলিশ স্টেশনে খবর দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। মেয়েটির ওপর নারকীয় অত্যাচার করে ঠিক তখনই এলাকা ছেড়ে পালাতে যাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। পাঁচ ধর্ষককে হাতেনাতে ধরলেও পালিয়ে যায় আমন।
মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণ প্রমাণিত হয়েছে। ছোট মেয়েটি বারবার তাকে ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানালে ধর্ষকরা তাকে মারধরও করে। পুলিশে খবর দিলে তাকে ও তার ছোট ভাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। মেয়েটি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। তার আতঙ্ক কিছুতেই কাটছে না। বারবার কাউন্সেলিং করে তাকে এই ট্রমা থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছেন ডাক্তাররা।
মেয়েটির বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। তার বাবা পেশায় গাড়ি চালক। সকাল বেলা মেয়েকে একা স্কুলের পথে ছেড়ে দেওয়ায় আপশোস করছেন তিনি। এই ভুলের জন্য সারা জীবন এখন অনুতাপ করতে হবে বলে জানিয়েছেন।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বর্বরতার সাক্ষী হল দিল্লি। আবারও লজ্জায় মুখ ঢাকল দেশের রাজধানী। স্কুলে যাওয়ার পথে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ছয় জনে মিলে গণধর্ষণ করল। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির দিচাঁও এলাকায় এই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একজন পলাতক।