পোষ্য যখন আপনার, অবশ্যই পছন্দসই নামও দিতে পারবেন। পোষ্যের জন্মদিন পালন করতে পারবেন। পারবেন তার সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠতে। প্রাণভরে আদার করতে। আবার হাতির পিঠে চড়ে চক্করও দিতে পারেন। তবে, অবশ্যই আপনার সঙ্গে বিশেষজ্ঞের নজরদারি থাকবে। যতই হোক হাতি তো। তাই এক ছাড়ার ঝুঁকিও থেকে যায়।
আর হ্যাঁ, এসব আপনি পারবেন তখনই, যদি প্রতি মাসে ওই হাতির পিছনে ৫০ হাজার টাকা করে খরচ করতে পারেন। উদ্যোগ, ওয়াইল্ডলাইফ এসওএস নামে এক এনজিও-র। এরাই ভারতের একমাত্র NGO, যাদের কাজই হল বিপন্ন হাতিকে উদ্ধার করে, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। আগ্রা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ফারায় রয়েছে তাদের হাতি রাখার ব্যবস্থা। বিভিন্ন সার্কাস তাঁবু ও ব্যক্তির কাছ উদ্ধার করে ১৭টি হাতিকে তারা রেখেছে। সম্প্রতি এখানে এসেছে আরও দুই নতুন অতিথি মিয়া ও সীতা। দু-জনকেই আনা হয়েছে তামিলনাড়ুর সার্কাস থেকে। লক্ষ্মী, লখি, ফুলকলিদের সঙ্গে দিব্য ভাব জমিয়ে ফেলেছে নতুন দুই অতিথি।
ওয়াইল্ডলাইফের কো-ফাউন্ডার কার্তিক সত্যনারায়ণ জানান, এক বছরের জন্য যে কেউ-ই হাতিকে দত্তক নিতে পারেন। এ জন্য বছরে লাগবে ৬ লক্ষ টাকা। হাতির খাওয়া ও চিকিত্সার খরচের জন্যই এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। কেউ পাঁচ বছরের জন্য দত্তক নিলে, তিনি পোষ্যের নামও দিতে পারবেন।
কোনও পশুপ্রেমীর হাতি পোষার ক্ষমতা না থাকলেও, যদি সামান্য কিছু করার ইচ্ছে থাকে, সে ব্যবস্থাও রয়েছে। এ জন্য দিতে হবে মাসে মাত্র আড়াই হাজার টাকা।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: তা হাতি পোষার যে খরচ আছে, সে তো লোকশ্রুতিই আছে। কিন্তু, যাঁরা এই খরচের তোয়াক্কা করেন না, মানে পেকেটের রেস্তো আছে, তাঁরা কিন্তু হাতি পুষতেই পারেন।